জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, যে স্বপ্ন নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে, যে উদ্দেশে বীর শহীদরা জীবন দিয়েছে, সেই স্বপ্ন এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের সংগ্রাম এখনও শেষ হয়নি। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের রাজনীতি চলবে। আমরা বৈষম্য ও শোষণমুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে যাব। আমরা তেমন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেমন বাংলাদেশ গড়তে বীর শহীদরা জীবন উৎসর্গ করেছেন।

বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে তখন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতেই দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। এমনটা উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, এটা ছিল গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।

বৈষম্য ও শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন জাপা চেয়ারম্যান। তিনি বলেন,  আমাদের সামনে স্পষ্ট ছিল, পশ্চিম পাকিস্তানীরা আমাদের সঙ্গে বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল। তখন বাঙালিদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করা হয়েছিল। আমাদের বঞ্চিত করতো সব অধিকার থেকে।

পাশাপাশি পূর্ব পাকিস্তানের সম্পদ লুট করে পশ্চিম পাকিস্তান সাজাতো। এটা বাঙালি জাতি মেনে নিতে পারেনি। শোষণ আর বৈষম্যের প্রতিবাদেই প্রথমে স্বাধিকার আন্দোলন এবং পরে স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছে। বৈষম্য ও শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে মূল চেতনা।

জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও আমরা শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে পারিনি। এখন বাঙালি-বাঙালি বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। সরকারি দল ও সরকারি দলের বাইরে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। এখনও আমাদের সম্পদ বিদেশে পাচার হচ্ছে। গণমাধ্যমে জানতে পারি দেশ থেকে বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার বিদেশে চলে যাচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, উপদেষ্টা হেনা খান পন্নি, আমানত হোসেন আমানত, ড. প্রফেসর গোলাম মোস্তফা, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, শেখ মো. আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন পাঠান, এইচএম শাহরিয়ার আসিফ, যুগ্ম মহাসচিব মো. সামসুল হক, মো. বেলাল হোসেন, একেএম আশরাফুজ্জামন খান প্রমুখ।

এএইচআর/এমএইচএস