শেখ হাসিনার ক্যাবিনেটকে মুরাদের মতো ফুটপাতে থাকতে হবে : রিজভী
শেখ হাসিনার ক্যাবিনেটকে মিথ্যাবাদী, বেয়াদব ও দুর্নীতিবাজের ক্যাবিনেট বলে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, চারদিকে যে অনাচার-অবিচার, রক্ত- তার কারণে একদিন হাসিনার ক্যাবিনেটকে ফুটপাতে, রাস্তায় শুয়ে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ যখন কানাডায় ঢুকতে পারলেন না তখন দুবাইতে ঢোকার চেষ্টা করেছেন। সেখানকার একটা ছবি ভাইরাল হয়েছে, যাতে দেখা গেছে তিনি এয়ারপোর্টের ফ্লোরে শুয়ে আছেন। যিনি এক সময় প্রকট ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছেন, যিনি ক্ষমতার দাপটে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদেরকে গালি দিয়েছেন, ব্যঙ্গ করেছেন; তিনি দুবাইয়ের এয়ারপোর্টে জ্যাকেট মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছেন। এমন করে হাসিনার ক্যাবিনেটও রাস্তায় শুয়ে থাকতে হবে।
বিজ্ঞাপন
আজ সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে সুচিকিৎসা, স্থায়ী মুক্তি এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, এই সরকার যাদের নিয়ে ক্যাবিনেট করেছে তারা অনর্গল মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, চার হাজার কোটি টাকা কোনো টাকাই না। শিক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, তোমরা দুর্নীতি করো, সহনীয় পর্যায়ে করো। যিনি ছাত্রদের নৈতিকতা শেখাবেন তিনি বলছেন সহনীয় পর্যায়ে দুর্নীতি করো। শেখ হাসিনার ক্যাবিনেট অব মিথ্যাবাদী, বেয়াদব, ক্যাবিনেট অব দুর্নীতিবাজ। এই নিয়ে শেখ হাসিনার ক্যাবিনেট চলছে। সেখান থেকে ভালো কিছু আশা করবেন কিভাবে?
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পুত্র নিজেকে বিরাট দার্শনিক মনে করে। তিনি সকালে এক কথা বলেন, দুপুরে আরেক কথা বলেন আর বিকেলে আরেক কথা বলেন। দেশের বড় বড় নেতাদেরকে তুই করে বলেন। মানুষকে মানুষ বলে গণ্য করেন না। তিনি বলেছেন- বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধী দেশের সাথে আঁতাত করে। উনাকে বলব, আপনার মাকে জিজ্ঞাসা করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় যে দেশ বিরোধিতা করেছে তাদের সাথে আপনার মা দহরম-মহরম করছেন কি না এই প্রশ্ন করেন।
জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাইসপ্রেসিডেন্ট মিঠুন বাবু, সদস্য সচিব জাকির প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, এয়ারপোর্টের ফ্লোরে এক ব্যক্তির শুয়ে থাকার যে ভাইরাল ছবিটি সদ্য পদত্যাগে বাধ্য হওয়া তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে, সেটি আসলে মুরাদের নয়। গুগল বলছে ছবিটি অন্তত দুই বছরের পুরোনো।
এমএইচএন/এইচকে