র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা : প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করলেন রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি গণতন্ত্র সম্মেলন হয়ে গেল। বাংলাদেশকে সেখানে ডাকা হয়নি। এরপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমানসহ সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে গতকাল নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর জন্য দায়ী কে? এর জন্য দায়ী আপনি (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনা।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে সু চিকিৎসা, স্থায়ী মুক্তি এবং প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কুরুচি বক্তব্যের প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শুধু তাই নয়। লেখাপড়ার ক্ষেত্রে তাদের সন্তানদেরকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যে, সেখানে তাদের অর্থ থাকলে সেগুলোও বাজেয়াপ্ত করা হবে। কেন তারা (যুক্তরাষ্ট্র) এই কর্মকর্তাদের নিষিদ্ধ করেছে? তারা তো চোখ বন্ধ করে নেই। দেশে কি হচ্ছে তারা সবই দেখছেন।
বিএনপিকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে শিক্ষা নেওয়া উচিত তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের এ কথার উত্তরে দলটির এ মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে শিক্ষা আপনাদের দিচ্ছে বিএনপির নেতারা তার উল্টো শিক্ষা নেবে। তাহলে তারা মানবিক ও গণতান্ত্রিক হবে আর জনগণের পক্ষে থাকবে। স্বাধীনতার পক্ষে থাকবে, সার্বভৌমত্তের পক্ষে থাকবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ইতোমধ্যেই সারা বিশ্বে আপনারা মর্যাদা হারিয়ে ফেলেছেন। আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র সম্মেলনে আপনাদেরকে ডাকা হয় না। কারণ তারা মনে করেন আপনারা গণতান্ত্রিক নন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আপনাদের বিশিষ্ট নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আপনারা এত খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন যে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এত খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় নাই। তারপরেও ২১ বছর লেগেছে ক্ষমতায় আসতে। এবার ২১শ বছর লাগবে।
সংগঠনের সভাপতি হারুনর রশিদের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এমএইচএন/আইএসএইচ