প্রবাসীরা টাকা পাঠিয়ে অর্থনীতির মেরুদণ্ড শক্ত রাখছে : জিএম কাদের
প্রবাসীরা কষ্টার্জিত অর্থ পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড শক্ত রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। তিনি বলেন, আর দেশের ব্যবসায়ীরা নিজ দেশ থেকে টাকা কামিয়ে বিদেশে পাচার করছেন। বিদেশে আলিশান বাড়ি করছেন। তাদের সন্তানদেরও দেশে লেখাপড়া করান না। নেই কোনো সরকারি নজরদারি।
আজ শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে পুরান ঢাকার লালবাগের আমলীগোলা মাঠে সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে মাসব্যাপী কম্বল বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
জিএম কাদের বলেন, যাদের টাকায় এদেশের সাধারণ মানুষ ও পরিবারগুলো সচ্ছল জীবন-যাপন করছেন তারা দেশে এলে বিমানবন্দরে টানাহেঁচড়া করা হয়। ব্যাগ-টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এই দায়ভার সরকারের।
দেশে কর্মসংস্থান ও চাকরির ব্যবস্থা হয়নি উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, একটি চাকরির জন্য ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয়। তারপরও নিশ্চয়তা বহন করে না। যার ফলে নিজ সন্তান দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেন। অনেকে জীবন বাজি রেখে নৌকায় ভেসে সাগর পাড়ি দিয়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, মানুষের যখন দরকার হবে তার আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে। যখন কোনো সমস্যা চরমে পৌঁছে তখন আমরা সমাধানের পথ খুঁজি। যেভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে সেভাবে সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে না। মানুষের জীবন আজ অতিষ্ঠ। যানজট আর অব্যবস্থার কারণে মানুষের জনজীবন আজ স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। বলা হচ্ছে- মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার নির্মাণ উদ্বোধন হচ্ছে। সেখানেও দুর্নীতি। সময়মতো কাজ শেষ করছে না। বরং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সময়ের কাজ সময়ে না করলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা। তা না বরং তাদের পুরস্কৃত করা হয়। ১০ টাকায় কাজ শেষ করবে বলে চুক্তিবদ্ধ হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকায় নিয়ে ঠেকায়। নেই কোনো জবাবদিহিতা।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, আলমগীর সিকদার লোটন, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, ফখরুল আহসান শাহাজাদা, রাকিব উদ্দিন আহমেদ সিহাব, সাকিব উদ্দিন আহমেদ, সিফান, ইসহাক ভূঁইয়া, দীন ইসলাম, যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মণ্ডল মানিক, কামাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন মকবুল, সাবের হোসেন প্রমুখ।
এএইচআর/এইচকে