খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসায় আইন কোনো বাধা না : মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদেরকে আইন দেখাচ্ছেন। যে আইন দেখাচ্ছেন সেই আইনের ৪০১ ধারায় পরিষ্কার বলা আছে, সরকারই পারে তাকে (খালেদাকে) উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে। এখানে আইন কোনো বাধা না।
আজ মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছেন হ্যামিলনের বাঁশি বাদক। তিনি বেরিয়ে এলে গণতন্ত্রের সংগ্রামের জন্য লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসবে। সেজন্যই তাকে আটক করে রাখা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া আজ এত অসুস্থ যে তা আপনাদের কাছে বর্ণনা করতে পারব না। তার চিকিৎসকদের প্রেস কনফারেন্স আপনারা শুনেছেন। তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে উন্নত চিকিৎসা। ডাক্তাররা পরিষ্কার করে বলেছেন, আমরা যা কিছু করা সম্ভব তা করেছি। আমাদের কাছে সেই উন্নত প্রযুক্তি নেই যা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে পরবর্তী চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও গণতন্ত্রের জন্য তাকে কারারুদ্ধ হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কেন আটক করে রাখা হয়েছে সেটি আমার চেয়ে আপনারা অনেক ভালো জানেন। তার বিরুদ্ধে করা মামলা সম্পূর্ণ সাজানো। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে প্রতিহিংসার বশে তাকে সাজা দিয়ে আটক করা হয়েছে।
বিএনপির এই মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ একাত্তরের পর জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া শুরু করেছিল। শুধু বিচ্ছিন্ন হয়নি, তারা জনগণের ওপর নিপীড়ন করেছে, নির্যাতন করেছে। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করে দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা সেগুলো ভুলে যাইনি। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং সেখান থেকে এখন পর্যন্ত সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে সংবিধানকে এখন এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেখানে আজকে কেউ কথা বলতে পারে না। আজকে কারও গণতান্ত্রিক অধিকার নেই, বাক স্বাধীনতা নেই। আজকের বিচার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ দলীয়করণ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব ফজলুর রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
এমএইচএন/এইচকে