বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান আপত্তিকর যে মন্তব্য করেছেন তা তিনি প্রত্যাহার করবেন না বলে জানিয়েছেন। 

আজ (সোমবার) বিবিসি বাংলাকে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, তিনি এসব বক্তব্য দিয়ে কোনো ভুল করেননি। এগুলো তিনি প্রত্যাহারও করবেন না। প্রত্যাহার করার ব্যাপারে সরকার ও দলের পক্ষ থেকে কোনো চাপও নেই।  

তিনি বক্তব্য দেওয়ার আগে তাকে ‘নোংরা ভাষায়’ আক্রমণ করে কথা বলা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মুরাদ হাসান। 

তিনি বলেন, আমার মেয়ের চেয়ে সে এক বছরের বড়। আমার কন্যার মতো বয়সী হয়ে যে নোংরা ভাষায় আমাকে নিয়ে ট্রল করেছে, সেটা তো কুচিন্তা। এটা আমার কাছে খুব দুঃখজনক মনে হয়েছে। তার সম্পর্কে সামাজিক মাধ্যমের অনেক ছবি আমার কাছে চলে এসেছে। 

তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য ব্যক্তিগত, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব
তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এটা তার ব্যক্তিগত মন্তব্য হতে পারে। আমাদের দলের বা সরকারের কোনো বক্তব্য বা মন্তব্য নয়। এ ধরনের বক্তব্য কেন সে দিলো, অবশ্যই আমি বিষয়টা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব।’ 

মুরাদ হাসানের বক্তব্যের সমালোচনায় সরব হয়েছে বহু মানুষ। বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বেসরকারি নারী সংগঠন নারীপক্ষ। নারীপক্ষ বিবৃতিতে বলেছে, ৪ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক সাক্ষাৎকারে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ছেলে তারেক রহমান ও নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে যে নোংরা গালাগালি করেছেন, তা নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে শোনা যায়নি। 

তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ চায় বিএনপি 
প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে তার পদত্যাগের দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মির্জা ফখরুর বলেছেন, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রীর একটি বিকৃত ও শিষ্টাচার বহির্ভূত নারী ও বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের তীব্র ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।

অবিলম্বে তথ্য-প্রতিমন্ত্রীকে হীন রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিমূলক এই নারী ও বর্ণবিদ্বেষী বিকৃত মন্তব্য প্রত্যাহার করে জনসমক্ষে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।  

এনএফ/জেএস