বিএনপির শিখিয়ে দেওয়া বক্তব্য দিয়েছেন ডাক্তাররা : তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিকিৎসকরা বিএনপির শিখিয়ে দেওয়া বক্তব্য দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে ক্যাবল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল (রোববার) আমি টেলিভিশনে দেখেছি, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার (খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে) বিবৃতি দিয়েছেন। ড্যাবের দফতর সম্পাদক ফখরুজ্জামান স্বাক্ষরিত আরেকটি বিবৃতি ছিল। আরেকজন ডাক্তার সংবাদ সম্মেলন করেছেন।’
এরা সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং ড্যাবের শীর্ষস্থানীয় নেতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডাক্তার সাহেব যেভাবে কথা বলেছেন, শুধুমাত্র ইউকেতে চিকিৎসা আছে। আর চিকিৎসা আছে জার্মানিতে আর ইউএসএতে। উনি ক্যাটাগরিক্যালি বলেছেন, ভারতে তো (চিকিৎসা) নেইই, সিঙ্গাপুর, ব্যাংককেও নেই।’
এ বক্তব্যের বিরোধিতা করে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন ইউরোপের অনেক মানুষ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিতে আসেন। আমেরিকার অনেকেও সিঙ্গাপুরে এসে চিকিৎসা করান। সারা দুনিয়া থেকে ব্যাংককেও অনেক মানুষ চিকিৎসা করাতে আসেন।’
তিনি বলেন, ‘শুধু তারেক রহমান যেখানে আছে সেখানে চিকিৎসা আছে, ইউকেতে; পাশের দেশ জার্মানিতে আর ইউএসএতে চিকিৎসা আছে! এই কথার মাধ্যমে, ওনাদের বক্তব্যের মাধ্যমে এটি স্পষ্ট হয়েছে, কাল ডাক্তার সাহেবরা যে বক্তব্য দিয়েছেন সেগুলো বিএনপির শেখানো বক্তব্য। ডাক্তার হিসেবে যতটুকু না বক্তব্য, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দিয়েছেন। বিএনপি যে বক্তব্য শিখিয়ে দিয়েছে সেই বক্তব্যই ডাক্তার সাহেবরা দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, এখন বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতিটা বিএনপি ডাক্তারদের মধ্যেও নিয়ে গেছে, গতকালের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এটিই প্রমাণিত হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, দেশে বিশৃঙ্খলা না চাইলে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি দিতে হবে। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব যদি এ কথা বলে থাকেন, এজন্য তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হতে পারে বলে আমি মনে করি। কারণ উনি যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছেন, উনি নিজেই স্বীকার করেছেন, এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ।
তিনি আরও বলেন, ওনারা অতীতে অনেক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন, দেশের মানুষ তাদের আর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেবে না।
এসএইচআর/জেডএস/জেএস