খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে ৮ দিনের কর্মসূচি
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে ৮ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি এবং দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচির কথা জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে দলটির যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের নিয়ে যৌথ সভা করেন মির্জা ফখরুল।
বিজ্ঞাপন
মির্জা ফখরুল জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবং সম্পাদকমণ্ডলীর নেতাদের সঙ্গে যৌথ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে।
কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
২৫ নভেম্বর সারা দেশে যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশ। ঢাকায় এই বিক্ষোভ সমাবেশ হবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে।
২৬ নভেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের পর মসজিদে মসজিদে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির জন্য দোয়া মাহফিল। একইভাবে মন্দির-প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা।
২৮ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ। ঢাকায় এই বিক্ষোভ সমাবেশ হবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে।
৩০ নভেম্বর বিএনপির উদ্যোগে বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ।
১ ডিসেম্বর ছাত্রদলের উদ্যোগে সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ।
২ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন।
৩ ডিসেম্বর কৃষক দলের উদ্যোগে ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ।
৪ ডিসেম্বর মহিলা দলের উদ্যোগে মৌন মিছিল।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, এসব গুজবের কোনো ভিত্তি নেই। একটি মহল অত্যন্ত কৌশলে অসৎ উদ্দেশ্যে এসব গুজব ছড়াচ্ছে।
এসব কর্মসূচি দিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব কি না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছি। নাগরিক সমাজে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ইস্যুতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তবে সব পরিস্থিতি বুঝে আমাদের কর্মসূচি দিতে হয়। কোনো হঠকারি কর্মসূচি আমরা দিতে চাই না।
খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। অবিলম্বে তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা দরকার। আমরা মনে করি, তাকে বিদেশে পাঠাতে আইনগত কোনো বাধা নেই। সরকার চাইলে তাকে এই মুহূর্তেই বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে পারেন। কিন্তু সরকারের ইচ্ছে নেই তিনি বেঁচে থাকুক। তাই তার বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে না তারা।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি সব ধরনের গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু করেছে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
এএইচআর/জেডএস/জেএস