বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ বলে দাবি করেছে ২০ দলীয় জোটের শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) একাংশ। দলটির সভাপতি আবদুল করিম আব্বাসী ও মহাসচিব শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিএনপিকে আরও কার্যকর, শক্তিশালী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। আবেদন-নিবেদন নয়, কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে বেগম জিয়াকে শোষকের কারাগার থেকে মুক্ত করার সংগ্রাম শুরু করুন। তাকে আমরা ধুঁকে-ধুঁকে মরতে দেব না।’

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তারা।

‘মাল্টি-ফাংশনাল’ অসুস্থতা নিয়ে রাষ্ট্রীয় অবহেলায় সুচিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়া মৃত্যুর প্রহর গুনছেন বলে দাবি করে দলটির শীর্ষ এ দুই নেতা বলেন, ‘অবিলম্বে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী বিদেশে উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে সুচিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই।’

খালেদা জিয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘তিনি শুধু তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীই নন, সেই সঙ্গে তিনি স্বাধীনতার মহান ঘোষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের সহধর্মিণী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত। এক ফরমায়েশি রায়ে তাকে কারাবন্দি রেখে তার চিকিৎসায় করা হয়েছে চরম অবহেলা।’

তারা আরও বলেন, ‘আজ সংবাদপত্রগুলোতে পরিষ্কার করে এসেছে, খালেদা জিয়া নানা রোগে আক্রান্ত। অবিলম্বে তার উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা প্রয়োজন। যেসব রোগের সুচিকিৎসা চিকিৎসক ডেকে নিয়ে করা সম্ভব না। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে যেভাবে সুচিকিৎসা বঞ্চিত করা হচ্ছে, দেশের জনগণ নীরবে তা সহ্য করবে না। তার সঙ্গে সরকারের বিরূপ অমানবিক আচরণের জবাব মানুষ কঠোরভাবে দেবে।’

বিবৃতিতে আবদুল করিম আব্বাসী ও শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে নেওয়ার পর থেকে সুচিকিৎসার অভাবে ধুঁকে-ধুঁকে মরছেন বেগম জিয়া। গণতন্ত্রের বাতিঘরের এ সংগ্রাম কোনো দিন বৃথা যাবে না, বৃথা হওয়ার নয়।’

সরকারের উদ্দেশে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য শুনে দেশবাসীর মনে হয়েছে, এ দেশে কোনো দিন শান্তি ও শৃঙ্খলা দেখতে চান না। তিনি জনগণকে এখনও বিভাজনের দিকেই ঠেলে রাখতে চান। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য, বিভাজনের নীতি করে ব্রিটিশরা যেমন স্বাধীনতা রুখতে পারেনি, অন্যায্যতা করে যেমন পাকিস্তান পারেনি, তেমনি আওয়ামী লীগও পারবে না। মানুষ জেগে উঠে এ বিভাজনের নীতি রুখে দেবে।’

এএইচআর/এসএসএইচ