জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে পাসের জন্য উত্থাপিত বিরোধীদলীয় নেতা ও উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) বিল-২০২১টি বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে এ দাবি জানান তারা।

ময়মনসিংহ-৮ আসনের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, আমি হতাশ হয়েছি। কারণ শক্তিশালী বিরোধী দল যদি আপনি সৃষ্টি করতে চান তাহলে বিরোধী দলকে এমপাওয়ারমেন্ট করতে অসুবিধা কোথায়? বিরোধী দলকে এমপাওয়ারমেন্ট করতে হবে। ২০১৪ সাল থেকে আমরা অনেকবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছি আমাদের চিফ হুইপ ও হুইপদের পদগুলোকে আপগ্রেড করা হোক। আমাদের একজন ডেপুটি স্পিকার দেওয়া হোক। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে সভাপতির পদ বাড়ানো হোক। এতে কারো কিছু যায় আসবে না।

জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, এখন আমরা বিরোধী দলে যাওয়ার জন্য নির্বাচন করি না। আমরা জোট ও মহাজোট করি সরকারে থাকার জন্য। সরকার পরিচালনা করার জন্য। একমাত্র জাতীয় পার্টি মহাজোটে থাকার পরেও আমরা বিরোধী দলে অংশগ্রহণ করছি। যেহেতু আমাদের প্রয়াত নেতা (হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ) বলে গিয়েছিলেন, তোমরা জনসাধারণের জন্য কাজ করবে।

বিরোধী দলের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি প্রয়োজন বলে সংসদকে জানান জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

তিনি বলেন, আমাদের বিরোধী দলের চিফ হুইপের কোনো স্বীকৃতি নেই। সরকারি দলের কয়েকজন হুইপ আছেন, যারা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা ভোগ করেন। আমাদের চিফ হুইপের যদি এই মর্যাদা দেওয়া হয়, তাহলে সংসদ আরও শক্তিশালী হবে। সংসদের সম্মান আরও বাড়বে।

বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবি করে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম রওশন আরা মান্নান বলেন, আমরা সংসদের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল। আমাদের চিফ হুইপের স্বীকৃতি দরকার। সঙ্গে দুজন হুইপ রয়েছেন। সবারই বেতন-ভাতা বর্ধিত করা হোক। অনেক দিন করা হয় না।  তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে মাইক বন্ধ করে দেন স্পিকার।

এ সময় জাতীয় পার্টির সমালোচনা করে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ বলেন, বিল নিয়ে আলোচনার সময় আমাদের বিরোধী দলের সদস্যরা বাস্তব কথা বলেছেন যে, বিরোধী দলের অবস্থান শুধু কাগজে কলমে। আসলে সাংসদে বিরোধী দল নেই। এটা ওনারা স্বীকার করেছেন।

এইউএ/এসকেডি