ডিজেল, কেরোসিনসহ সব জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)- সিপিবি। একই সঙ্গে এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীকে গ্রেফতার ও আব্বাসীর দায়ের করা মিথ্যা মামলা দুটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সিপিবি।

শনিবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সরকার অযাচিতভাবে ডিজেল, কেরোসিন ও সিলিন্ডার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। ফলে এখন বাস ভাড়া বাড়বে, বর্তমানে বাজারে সব ধরনের দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। করোনা মহামারিতে জনগণ কোনোরকমে খেয়ে না খেয়ে জীবনধারণ করছে। সরকার সেদিকে দৃষ্টি না দিয়ে আবারও কেরোসিন ও সিলিন্ডার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। এ সরকার জনগণের কথা চিন্তা করে না। ভোটারবিহীন এ সরকার জনগণের দায়িত্ব নিতে পারছে না। এ সরকার মুনাফাখোর, লুটেরা শ্রেণির সরকার। এ সরকার ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখে, জনগণের স্বার্থ দেখে না।

তারা আরও বলেন, ধর্ম ব্যবসায়ী ভণ্ড এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সমাজে ঘৃণা ছড়াচ্ছে। হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গা সৃষ্টি করছে। রাষ্ট্রের সব আইন অমান্য করে মদিনা সনদে দেশ চালানোর হুংকার দিচ্ছে। তিনি প্রকাশ্যে বলছেন, দেশের প্রচলিত আইন তিনি মানেন না। এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী প্রকাশ্যে আল কায়েদা, আইএস ও তালেবানদের সমর্থন দিচ্ছে। বাংলাদেশে আল কায়েদার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে। এসব ডকুমেন্টস দিয়ে এপ্রিল মাসে পল্টন থানায় এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর নামে মার্কসবাদীর সভাপতি ডা. এম. এ সামাদ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। সরকার আব্বাসীকে গ্রেফতার না করে, উল্টো আব্বাসীকে দিয়ে আমরা প্রতিবাদ করায় আমাদের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পরপর দুটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আমরা মনে করি, সরকার জঙ্গি ও মৌলবাদীদের মদদ দিচ্ছে। আব্বাসীরা বাংলাদেশকে তালেবান রাষ্ট্র বানানোর জন্য প্রকাশ্যে তৎপরতা চালাচ্ছে। অবিলম্বে কমিউনিস্ট পার্টির নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)- সিপিবির সভাপতি ডা. এম. এ সামাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তালেবুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড মোস্তফা আল খালিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুল হক সরকার প্রমুখ।

এমএইচএন/এসএসএইচ