বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকার বিদেশ থেকে যত টাকা ধার করেছে, তা আগামী ২০২২ সাল থেকে পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু টাকা কোথায়? সব তো বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। উন্নয়নের নামে ১০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে।

সোমবার (১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনায় সরকার নিজেদের দালাল নিয়োগ করেছে। তারা বিভিন্ন টেলিভিশনের টক-শো করে বেড়ায়। এই দালালদের কী আপনারা পথে-ঘাটে পান না? তাদের কিন্তু কিছু উপহার দিতে হবে। না হলে তাদের দালালি আরও বেড়ে যাবে। সরকারের পাপের বোঝা অনেক ভারী। তাদের চলে যাওয়ার সময় হয়েছে। এখন আপনারা যদি চান, তাহলে রাখতে পারেন। আর আপনারা যদি না চান, তাহলে বিদায় করে দিতে পারেন।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, সাধারণত বাজারে যখন পণ্যের যোগান কম থাকে, ক্রেতা চাহিদা বেশি থাকে তখন দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ে। কিন্তু সবকিছুই পর্যাপ্ত আছে, উৎপাদন আছে অথচ মাঝখানে দ্রব্যের মূল্য বাড়ছে কার স্বার্থে? একমাত্র আওয়ামী লুটেরা সিন্ডিকেটের স্বার্থে।

তিনি আরও বলেন, দেশের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের পাশাপাশি অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়ছে। যারা ব্রিজে রডের বদলে বাঁশ দেয়, তাদের দাম বাড়ছে, পুলিশের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে দাম কমছে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের, মানুষের মূল্যবোধের। দাম কমছে সৎ লোকের, যারা দিন আনে দিন খায়, পরিশ্রম করে।

‘আওয়ামী লীগ সহিষ্ণু বলে বিএনপি রাজনীতি করতে পারছে’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, তার এ বক্তব্যের মধ্যেই অসহিষ্ণুতা আছে। তাদের সহিষ্ণুতা-অসহিষ্ণুতার ওপর ভিত্তি করে অন্যরা রাজনীতি করবে, এটাই হচ্ছে নাৎসিবাদী, ফ্যাসিবাদী কথা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হলেও সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। এজন্য তারা ক্রমাগত জিনিসের দাম বাড়িয়ে চলছে।

জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে প্রধানমন্ত্রী নিজের দেশের সুন্দরবন উজাড় করে দেওয়ার জন্য রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছেন, তিনি যাচ্ছেন গ্লাসগোতে পরিবেশ সম্মেলনে। এটা স্ববিরোধীতা।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

এমএইচএন/এমএইচএস