সাম্প্রদায়িকতাকে নিশ্চিহ্ন করা প্রধান রাজনৈতিক কর্তব্য
অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত সমাজ নির্মাণের জন্য ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ উৎসর্গ করেছিল। শুধু বাংলাদেশ থেকেই নয়, গোটা উপমহাদেশ থেকে সাম্প্রদায়িকতাকে নিশ্চিহ্ন করা এ অঞ্চলের মানুষের প্রধান রাজনৈতিক কর্তব্য। সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে জনগণকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক উস্কানি সম্পর্কে সতর্ক থাকাতে হবে।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) পুরানা পল্টন মোড়ে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন বক্তারা।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি-ঘরে হামলা ও ভাঙচুর হয়। এসব ঘটনায় অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নানা গুজব ছড়িয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করা হয়েছে। এবারও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক হামলা করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে দমন করার বদলে সরকার প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে। বিচারহীনতার কারণে একের পর এক সাম্প্রদায়িক হামলা হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো শাসকদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও লালন-পালনের মধ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িকতার বিপদ কেবল ধর্মান্ধ প্রতিক্রিয়াশীল সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী রূপেই বিরাজ করছে না। সাম্প্রদায়িকতা দিন দিন দেশের ‘সামাজিক মনস্তত্ত্বে’ আসন গেড়ে বসেছে। এর দায়-দায়িত্ব শাসকদেরই নিতে হবে। বর্তমান সরকার হেফাজতকে খুশি করতে গিয়ে পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাসকে সাম্প্রদায়িক ধারায় পরিবর্তন করেছে। শাসকদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় আজ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে, মানুষের মনস্তত্ত্বে সাম্প্রদায়িকতা ছড়িয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্র ও প্রশাসনের লোকেরাও এ থেকে মুক্ত নয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, সহকারী সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল্লাহ কাফি রতন, প্রেসিডিয়াম সদস্য মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ।
এমএইচএন/এসকেডি