আওয়ামী লীগ এমন একটি রাজনৈতিক দল যারা জনগণের রক্ত চুষে নিয়ে নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায় বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘এটাই হচ্ছে তাদের অভিপ্রায়। এটাই হচ্ছে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি। আর এ কর্মসূচিকে নিয়ে গত ১৪ বছর অন্যায়ভাবে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে ও জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতার মধ্যে বসে আছে আওয়ামী লীগ।’

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রিজভী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সুস্থতা কামনা করে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মৎস্যজীবী দল।

চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আজ বেশিরভাগ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছে। কিন্তু আপনি কিছু বললেই ঝাঁপিয়ে পড়বে। এরপরও আপনাকে বলতে হবে শেখ হাসিনা গণতন্ত্র দিয়েছে। কারণ এরা তো ফ্যাসিবাদ। এখানে শাসক দলের যিনি প্রধান তাই মানতে হবে।’

যারা একদলীয় শাসনের কর্ণধার তাদের দেশে-দেশে মিথ্যার ওপর টিকে থাকতে হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র এ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘তাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। তাদের নির্বাচন করতে হয় না। ভোট করতে হয় না। ভোটকেন্দ্রে যেতে হয় না। সুতরাং তাদের মূল্য লক্ষ্য মিথ্যা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে টিকে থাকা। তারা এখন সেটাই করছে। আপনারা দেখবেন কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা, বিভিন্ন জেলায় মন্দির ভাঙচুর-লুটপাটে সরকারি দলের লোকজন জড়িত।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ‘কেউ ফেসবুকে কিছু লিখলে বা শেয়ার করলে তাকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এত কিছু করার পরও সত্য বেরিয়ে আসছে।’

অনুষ্ঠানের শেষে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মৎস্যজীবী সংগঠনের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাব ও সদস্য সচিব আবদুর রহিম প্রমুখ। 

এএইচআর/এসএসএইচ