দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র চলছে : ওবায়দুল কাদের
বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দেশের একটি মহল অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠছে। তাই এ অপশক্তি মোকাবিলার জন্য চোখ কান খোলা রেখে ছাত্রলীগকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (১৭ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘স্বপ্ন ও সম্ভাবনার স্ফুলিঙ্গ- শেখ রাসেল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
বিজ্ঞাপন
ওবায়দুল কাদের বলেন, একাত্তরে যারা পরাজিত হয়েছিল তারাই পচাত্তরের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। দেশি-বিদেশি চক্র একটি নীল নকশার মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের চেতনাতে তারা আঘাত হেনেছিল। আঘাত হেনেছিল মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনায়। এদের ডালপালা আজ অনেক দূর চলে গেছে। এদের শেকড়ও চলে গেছে মাটির অনেক গভীরে। মাঝে মধ্যে মনে হয় এ শক্তি নিষ্ক্রিয়। আসলে তলে তলে এরা সক্রিয়। সুযোগ পেলে ছোবল মারে।
তিনি আরও বলেন, দেশের ৩০-৩৫ হাজার পূজামণ্ডপে শেখ হাসিনা সরকারের গত ১২ বছরে কোথাও কোনো ধরনের হামলা হয়নি। এবারে সাম্প্রদায়িক শক্তি নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে। সাম্প্রদায়িক শক্তির নির্ভরযোগ্য ঠিকানা বিএনপি। পত্র-পত্রিকায় মাঝে মধ্যে দেখ যায় জামায়াত-বিএনপি আলাদা হয়ে যাচ্ছে। দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। এটা আসলে কিছুই না। গোপনে গোপনে তাদের যে পিরিতি রয়েছে তা আর কারো নেই।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম. বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বডুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফফর হোসেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আ.লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। শেখ রাসেলের জীবনীর ওপর অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল হালিম।
এইচআর/এসএম