ক্ষমতা ছাড়তে না চাওয়াই রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেছেন, এই অপচেষ্টা হচ্ছে রাজনৈতিক বিকৃতি।

শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক যোগদান অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার ইকবাল জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে যোগদান করেন।

জিএম কাদের বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রবেশদ্বার। সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই গণতন্ত্রের চর্চা সম্ভব। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশন আইন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন করতে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর উপদেষ্টা লেভেলের নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য লোক নিয়োগ দিয়ে তাদের হাতে সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা দিতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে দেশের নির্বাহী বিভাগ সম্পূর্ণভাবেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করবে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, কয়েকটি দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নির্বাচনের জন্য খণ্ডকালীন সমাধান। এই ব্যবস্থা স্থায়ী সমাধান নয়। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন মাস পর বিলুপ্ত হলে, পরবর্তী উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সরকার প্রভাব বিস্তার করতে পারে। আইন করে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন না হওয়ায় নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে কাজ করছে না বা সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না। তাই জনগণের ইচ্ছে অনুযায়ী প্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছে না।

নির্বাচনে গণমানুষের প্রত্যাশা প্রতিফলিত হচ্ছে না বলে উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এই কারণে নির্বাচন কমিশনের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা এখন শূন্যের কোঠায়। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, লো. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা রানী, শফিউল্লাহ শফি, মৌলভী ইলিয়াস, আহমেদ শফি রুবেল, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হক নুরু প্রমুখ।

এএইচআর/জেডএস