‘নির্বাচনে হস্তক্ষেপের কথা স্বীকার করছেন ওবায়দুল কাদের’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্যে স্বীকার করেছেন অতীতের সব নির্বাচনে সরকার হস্তক্ষেপ করেছে।
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন রিজভী।
বিজ্ঞাপন
রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের একদিন আগে বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বর্তমান সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। দেশে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ হলেই কেবল নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি সবাইকে নিয়ে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের কোনো সুযোগ নেই। তার এই বক্তব্যে স্বীকার করে নিলেন তাদের অধীনে অতীতের সকল নির্বাচনে সরকার হস্তক্ষেপ করেছে।
আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যাকারী উল্লেখ করে রিজভী বলেন, তাদের অধীনে যত নির্বাচন হয়েছে সব ফেনী স্টাইলে হয়েছে। কেন্দ্র দখল করে জাল ভোটের উৎসব করে আওয়ামী লীগ, দিনের ভোট রাতে করে আওয়ামী লীগ, বিনাভোটে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ। আপনাদের মনে আছে ১৯৭৩ সালে খন্দকার মোশতাক নির্বাচনে পরাজিত হলে তাকে জেতাতে হেলিকপ্টার দিয়ে ঢাকায় ব্যালট আনা হয়েছিল। সেই যে জালিয়াতি শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ, তারই ধারাবাহিকতা আজও বহমান। বাংলাদেশ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন নির্বাসনে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে তারা।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া আগামীতে কোনো জাতীয় নির্বাচন হবে না বলে দাবি করে তিনি বলেন, জনগণ তা হতে দেবে না। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজপথে নেমে এ সরকারকে হটিয়ে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবেই। আর সেই আন্দোলনের নেতৃত্বে আছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, খোদ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘নগদ’ নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের কেলেঙ্কারির খবর বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িতদের কেউ কেউ ইতোমধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। নিশিরাতের সরকারের প্রতি আহ্বান, বাঁচতে চাইলে এখনো সময় আছে, ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে জনগণের কাছে ক্ষমা চান।
এএইচআর/এসকেডি