‘এত উন্নয়ন দিয়ে মানুষ কী করবে’
দেশের বাজারে হঠাৎ করে একদম অযৌক্তিকভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। প্রতিদিন পণ্যের দাম বাড়ছে। দেশে খরা নেই, বন্যা নেই-অথচ জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও লুটপাট বন্ধ এবং ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, চট্টগ্রাম জেলা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা। আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর সিনেমা প্যালেস চত্বরে সিপিবির চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল নবীর সভাপতিত্বে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
এতে বক্তারা আরও বলেন, গরিব, মধ্যবিত্ত, খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে আজ নাভিশ্বাস। তাদের আয়ের সিংহভাগ চলে যাচ্ছে খাদ্যের যোগান দিতে। গরীব, শ্রমিক-মজুরদের পরিবারে দুর্বিসহ অবস্থা। অথচ সরকারের কার্যকলাপে মনে হচ্ছে, গরীব-মেহনতি মানুষের জীবনযাত্রার এই সংকট তাদের কাছে কোনো বিষয়ই নয়। তারা আছে উন্নয়নের ফাঁকা বুলি নিয়ে। দুইবেলা পেটে ভাত দিতে না পারলে, এত উন্নয়ন দিয়ে মানুষ কী করবে?
সিপিবের নেতারা বলেন, আমরা আরও দেখছি, দেশ আজ সিন্ডিকেটবাজদের খপ্পড়ে পড়েছে। বাজারে মুনাফাখোর সিন্ডিকেট, সরকারের ভেতরে লুটপাটকারী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট মানুষের জীবনের সুখশান্তি, রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। অথচ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই। বাজারে কথায় কথায় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয় সিন্ডিকেট। তুচ্ছ অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায়।
সমাবেশে আরও বলা হয়, দেশের এমন পরিস্থিতি কেন হয়েছে সেটা আমাদের দেশের জনগণকে ভাবতে হবে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি গরীব-মেহনতি মানুষের দল। গরীব-খেটে খাওয়া মানুষের জন্য আমরা লড়াই-সংগ্রাম করি। আমরা মনে করি, দেশে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতির কারণেই এমন দুঃসহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে, গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। এজন্য আজ মানুষের দুর্দশা লাঘবে কারও মাথাব্যাথা নেই। আমরা সরকারকে বলতে চাই, এখনও সময় আছে। দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানুন। সিন্ডিকেটের লাগাম টানুন। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন।
সিপিবি, চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নুরুচ্ছাফা ভুঁইয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- সিপিবিরি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মৃণাল চৌধুরী, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অশোক সাহা, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য উত্তম চৌধুরী, মো. মছিউদৌলা, প্রমোদ বড়ুয়া।
কেএম/এনএফ