বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের লুটেরা অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মানুষের হতাশা ‘চরম পর্যায়ে’। সরকার অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। তারা আজকে পুরোপুরিভাবে একটা লুটেরা অর্থনীতি ও লুটেরা সমাজ তৈরি করছে। অর্থনৈতিক অবস্থা কতটা খারাপ হলে একজন মানুষ নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে!

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ওই মোটরসাইকেল-চালক ব্যবসায়ী ছিলেন, তার সিরামিকের একটা দোকান ছিল। করোনার কারণে দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একটা মোটরসাইকেল কিনে ভাড়ায় চালিয়ে কোনো রকম টিকে থাকার চেষ্টা করছিলেন। সেখানেও প্রতি পদে পদে বাধা।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের লক্ষ্য ছিল একটা বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখা। যেটা আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মূল কথা ছিল, সেটা আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমাদের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের যে স্বপ্ন ছিল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সেটাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন বহুদলীয় গণতন্ত্র নেই, একটা মুখোশ আছে, একটা আবরণ আছে গণতন্ত্রের। সেই আবরণের মধ্যে পুরোপুরি একদলীয় ব্যবস্থা চলছে। এখানে একটা ভয়ভীতির সংস্কৃতি এমনভাবে তৈরি হয়েছে যে, এখন কথা বলতে যে কেউ ভয় পায়, লিখতে ভয় পায়।

তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৩৫ লাখের উপরে মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রতিনিয়ত গ্রেফতার, পুলিশি নির্যাতনে তারা এলাকায় থাকতে পারছে না। এই দেশকে কি একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যাবে? যাবে না। একটা অস্বস্তিকর অবস্থা তারা তৈরি করেছে।

জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আবদুস সালামের সঞ্চালনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএইচআর/এসকেডি