আসামের সিপাঝার এলাকায় কয়েক হাজার মুসলিম পরিবারকে তাদের বসতি থেকে উচ্ছেদ করে শিব মন্দির নির্মাণের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। 

আজ (সোমবার) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়েছে হেফাজতের পক্ষ থেকে। 

হেফাজত আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা হফেজ নুরুল ইসলাম বিবৃতিতে বলেন, স্থানীয় আশ্রয়চ্যুত ও ন্যায্য অধিকারবঞ্চিত মুসলমানদের যৌক্তিক বিক্ষোভে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ মর্মান্তিক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা।

হেফাজতের নেতারা বলেন, আসামের দরং জেলার মুসলমানদের কাছে সব ধরনের সরকারি নথি-পত্র, দলিল-প্রমাণ ও পরিচয়পত্র থাকার পরও ভারতের কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি সমর্থিত আসামের প্রাদেশিক সরকার শুধুমাত্র মন্দিরের পরিধি বাড়ানোর অজুহাতে বিগত কিছু দিন ধরে সেখানে দফায় দফায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে প্রায় ৮০০ মুসলমান পরিবারকে ঘরবাড়ি ছাড়া করেছে। স্থানীয় মুসলিমরা প্রতিবাদে বিক্ষোভ করলে পুলিশ গুলি করে দুই জনকে নিহত এবং আরও অনেককে আহত করেছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে একজন উগ্র হিন্দুকে একজন মুসলমানের লাশের ওপর তাণ্ডব চালাতে দেখা গেছে। ভারতের মতো একটি সেকুলার ও গণতান্ত্রিক দেশে বিশেষ একটি জনগোষ্ঠীর ওপর এমন অমানবিক আচরণ ও দমন-পীড়ন নীতি অপ্রত্যাশিত।

ভারতের স্বাধীনতাসহ সব বিষয়ে মুসলিমদের ঐতিহ্য ও অবদানের ইতিহাস কারও অজানা নয় বলেও উল্লেখ করেন হেফাজত নেতারা। তারা বলেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমাদের দাবি, অনতিবিলম্বে আসামের মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ করুন এবং আশ্রয়চ্যুত মুসলমানদের ভিটে-বাড়ি ফিরিয়ে দিন। আর এই জঘন্য ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন।


এএইচআর/এনএফ