সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমালে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষ আয় সংকটে পড়বে বলে মনে করছে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি। এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় দলটির নেতারা বলেছেন, বিশেষ করে অবসরভোগী সাধারণ মানুষের আয় কমানোর সরকারি সিদ্ধান্ত তাদের দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহে সংকট তৈরি করবে, সমাজে এর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পার্টির পলিটব্যুরোর ভার্চুয়াল সভায় এ প্রস্তাবে এ কথা বলা হয়।

সভার প্রস্তাবে বলা হয়, আগে সঞ্চয়পত্রের উৎসে কর বৃদ্ধি করেছে সরকার। এখন আবার সাধারণ মানুষের সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে সুদহার কমিয়ে তাদের আয় সংকুচিত করা হলো। দেশে ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি, অর্থনৈতিক লুটপাট, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে অর্থমন্ত্রী গরিবের সংসারে হাত দিয়েছেন।

প্রস্তাবে আরও বলা হয়, বিগত সংসদে সঞ্চয়পত্রের উৎসে কর বাড়ানোর প্রস্তাব করে অর্থমন্ত্রী তার নিজ দলীয় সদস্যদের তোপের মুখে পড়েছিলেন। আর এবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানোর বিষয়টি সংসদকে পাশ কাটিয়ে হঠাৎ করে ঘোষণা দিলেন। সাধারণ মানুষের নিরাপদ বিনিয়োগের ব্যবস্থা সংকুচিত করলে বিভিন্ন ভুঁইফোঁড় প্রতিষ্ঠান অধিক মুনাফার ফাঁদে ফেলে জনগণকে সর্বস্বান্ত করার সুযোগ নেবে। সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় প্রস্তাবে।

সভার অপর প্রস্তাবে সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠনগুলোর ১১ জন সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করা হয়। একইসঙ্গে এটিকে নজিরবিহীন ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে উল্লেখ করা হয়। ব্যাংক হিসাব তলবের মাধ্যমে সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণে রাখার অপকৌশল নেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, আনিসুর রহমান মল্লিক, কমরেড সুশান্ত দাস প্রমুখ অংশ নেন।

এএইচআর/এসএসএইচ