খাদ্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে ‘মূল্য নির্ধারণ কমিশন’ গঠনের দাবি
চাল, ডাল, তেল, চিনি, লবণসহ অতি আবশ্যক নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর পাইকারি ও খুচরা মূল্য নির্ধারণে ‘মূল্য নির্ধারণ কমিশন’ গঠনের দাবি জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
তিনি বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী নিয়ে মুনাফাখোর বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম রোধে এই কমিশন গঠন জরুরি।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।
সাইফুল হক বলেন, সরকারের অকার্যকারীতায় বাজার সিন্ডিকেট দেশের মানুষকে পুরোপুরি জিম্মি করে ফেলেছে। এদের দৌরাত্মে স্বল্প আয়ের কোটি কোটি মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। ব্যবসায়ী, মিলার, ফড়িয়া মধ্যস্বত্বভোগীরা যা খুশি তা-ই করে চলেছে। বাস্তবে সরকারের বাজার মনিটরিং বলতে কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত এই কমিশন চাহিদা ও যোগানের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে অতি জরুরি এসব খাদ্যপণ্যের মূল্য নির্ধারণ করবে এবং সরকার কঠোরভাবে তা বাস্তবায়ন করবে। এসব মূল্যতালিকা জনগণকে ভালোভাবে অবহিত করারও ব্যবস্থা করতে হবে।
একই সঙ্গে এসব পণের উৎপাদন, পরিবহন, বিপণন ও আমদানির ক্ষেত্রেও সরকারকে ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানান এই বাম নেতা।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কায় এই উদ্যোগ নিয়ে ইতোমধ্যে আবশ্যিক খাদ্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য এসেছে। সমাজতান্ত্রিক দেশ ছাড়াও পৃথিবীর বহু দেশে এইভাবে মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা গেছে।
চাল, তেলসহ খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুদ ও যোগান থাকার পর ধারাবাহিকভাবে এসব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কোনোই কারণ নেই বলে উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, চালের যেটুকু ঘাটতি ছিল আমদানি করে তা পূরণ করা হয়েছে।
এএইচআর/এইচকে