পরীমণি স্বনামধন্য নায়িকা, তার ন্যূনতম সম্মান পাওয়া উচিত
বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তবে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। পরীমণি দেশের একজন স্বনামধন্য নায়িকা। তিনি দেশের একজন আইডল। তার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ আছে তা তদন্ত করে দেখা উচিত। কিন্তু এভাবে হয়রানি করা উচিত নয়। তাকে ন্যূনতম সম্মানটুকু আমাদের করা উচিত।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
সাইফুল হক বলেন, এই সরকার নির্বাচনকে যেমন তামাশায় পরিণত করেছে, তেমনি গণটিকাও গণতামাশার একটি অংশ হয়ে উঠেছে। দেশে কোভিডের টিকা প্রয়োজন কোটির হিসেবে, কিন্তু আমরা এখনও লাখের হিসেবে পড়ে আছি। আর গণটিকা নিতে গিয়ে গণহারে সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা নিয়ে অনেক দুর্নীতির চিত্র আমরা দেখেছি। স্থানীয় নেতাকর্মীরা নিজের আত্মীয়-স্বজন এবং টাকার বিনিময়ে টিকা বিক্রি পর্যন্ত করেছে।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে সরকারের মধ্যে তত অস্থিরতা বাড়তে শুরু করেছে। বিরোধীদের মোকাবিলায় রাজনৈতিক কৌশলের দিক থেকে তারা এক ধরনের আত্মঘাতী পোড়ামাটি নীতি অনুসরণ করছে। রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কারণে তারা এখন ভূতের মতো পেছনে হাঁটতে শুরু করেছে। করোনা দুর্যোগে সর্বস্বান্ত জীবিত মানুষদের বাঁচানোর রাজনীতির পরিবর্তে ৪০ বছর পর তারা এখন জিয়াউর রহমানের লাশ খোঁজার রাজনীতি শুরু করেছে।
সাইফুল হক বলেন, এটা সরকার ও সরকারি দলের হীনমন্যতার বহিঃপ্রকাশ। ঐতিহ্যবাহী একটি দলকে এত নিচে নামতে হবে কেন? তারা প্রকারান্তরে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করছে। করোনা দুর্যোগ ও বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে যখন বিরোধীদল ও জনগণকে আস্থায় নিয়ে রাজনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া জরুরি তখন সরকার খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রাজনীতিতে হিংসা, ঘৃণা আর বিরোধী-বৈরিতা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষের কাছে যদি প্রণোদনা সঠিকভাবে পৌঁছানো যেত তাহলে দেশের মানুষের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হতো। কিন্তু সরকার যেভাবে সাধারণ মানুষের জন্য টাকা পৌঁছে দিয়েছে তাতে সেসব টাকা সাধারণ মানুষের কাছে নয় বরং নেতাকর্মীদের পকেটে ঢুকেছে।
এই বাম নেতা বলেন, বেপরোয়া সরকার রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের সাইড লাইনে বসিয়ে রেখে সমগ্র গণতান্ত্রিক কাঠামো ভেঙে বলপ্রয়োগের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে দেশ চালানোর বিপজ্জনক পথে হাঁটছে। ভোটের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের পথও তারা বন্ধ করে দিয়েছে।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেত্রী বহ্নিশিখা জামালী, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, আবু হাসান টিপু, কেন্দ্রীয় নেতা রাশিদা বেগম, এ্যাপোলো জামালী, সাইফুল ইসলাম, অরবিন্দু বেপারী বিন্দু প্রমুখ।
এমএইচএন/এসকেডি