জিয়ার লাশ নিয়ে মন্ত্রীরা রুচিহীন প্রতিযোগিতা করছেন : বিএনপি
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়ে আওয়ামী মন্ত্রী-নেতাদের মধ্যে রুচিহীন বক্তব্য প্রদানের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ অভিযোগ করেন।
বিজ্ঞাপন
প্রিন্সের দাবি, প্রতিযোগিতা এজন্য যে, যার বক্তব্য যত ঘৃণ্য ও অসত্য হবে তাকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হবে। শহীদ জিয়াকে নিয়ে আওয়ামী মিথ্যাচার তাদের ভ্রষ্টাচার ছাড়া কিছু নয়। এসব আওয়ামী প্রযোজিত ও পরিচালিত নষ্ট রাজনীতির উপাদান মাত্র। তাদের এসব বক্তব্যে জনগণের কাছে পরিষ্কার যে, সরকারের পায়ের নিচের সর্বশেষ মাটিটুকুও আর অবশিষ্ট নেই।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মুক্তিযুদ্ধে সাহসী ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘বীর উত্তম’ কেড়ে নেওয়ার ধৃষ্টতাসহ এখন নতুন করে তার লাশ, মাজার এমনকি মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান নিয়ে আপত্তিকর, নির্মম, নিষ্ঠুর ও ঘৃণ্য মিথ্যাচার শুরু করেছে। আসলে শহীদ জিয়ার বিপুল জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে তার লাশ, মাজার ও মুক্তিযুদ্ধে অবদান নিয়ে অশালীন ও ঘৃণিত বক্তব্য প্রদানের পর থেকে আওয়ামী মন্ত্রী-নেতারা অতি উৎসাহে এ বিষয়ে মিথ্যাচার শুরু করেছে।
‘দেশ পরিচালনায় সীমাহীন ব্যর্থতা, গণতন্ত্র-ভোটাধিকারসহ মৌলিক মানবাধিকার হরণ, বিচারবহির্ভূত হত্যা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ও লুটপাটকে আড়াল করতে এবং করোনা মোকাবিলার ব্যর্থতা থেকে দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই এ ধরনের মিথ্যাচার করছে সরকারের মন্ত্রীরা’, দাবি করেন প্রিন্স।
‘জিয়া উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ পেলে নাকে খৎ দেবেন’ মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রিন্স বলেন, তিনি আরও বলেছে- লাশের ডিএনএ টেস্টসহ শহীদ জিয়ার লাশ কবর থেকে সরানো হবে। একজন মন্ত্রী কতটা আদবের বরখেলাপ করলে এমন বক্তব্য রাখতে পারে তা জাতির নিকট সহজেই অনুমেয়। মিথ্যা প্রলাপকারী এসব অর্বাচীন মন্ত্রী-নেতাদের জিজ্ঞেস করতে চাই- মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তারা কোনো রণাঙ্গনের কোনো সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন? তাদের মতো লোকদের একমাত্র কাজ হচ্ছে মিথ্যাচার, বিষোদগার, চরিত্র হনন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি।
এএইচআর/এইচকে