ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক নুরুল হক নুর

সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিংয়ের মতো জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক নুরুল হক নুর।

দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, হয়রানি ও হুমকির প্রতিবাদে শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানান নুর।

বিজ্ঞপ্তিতে নুর বলেন, আজ কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় জুম্মার নামাজের পর ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মহামারি নিয়ে জনসচেতনতামূলক লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুর্বৃত্তরা হামলা করে মাস্ক, লিফলেট, ব্যানার ও ফেস্টুন কেড়ে নিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং তাদের মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। হামলায় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের বেশ কয়েকজন আহত হয়। একই দিনে বিকেলে বান্দরবান জেলা ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা বিনিময় প্রোগ্রামেও ছাত্রলীগ এবং পুলিশ প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করে এবং হুমকি দেয়।

নুর আরও বলেন, গত ১৮ আগস্ট মোদিবিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়া কারাবন্দি ছাত্রনেতা আব্দুর রউফের মুক্তির পর তাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথেও মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার সমেতপুর-বৈন্যাঘাট এলাকায় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করে ১৫ জনকে আহত ও দুটি গাড়ি ভাংচুর করে এবং নেতা-কর্মীদের মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ, যুবলীগের দুর্বৃত্তদের অব্যাহত হামলা, হুমকি ও প্রশাসনিক হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে ডাকসুর সাবেক এ ভিপি বলেন, সরকারি দলের দুর্বৃত্তদের দ্বারা শুধু ভিন্নমতের এবং বিরোধী নেতা-কর্মীরাই হয়রানি, হুমকি ও আক্রমণের শিকার হচ্ছেন, তা নয়। আক্রান্ত হচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও, যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল রাখতে এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে দায়িত্বশীল নেতাদের এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাই। একইসঙ্গে সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিংয়ের মতো জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতে সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাই।

এইচআর/আরএইচ