আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমি আওয়ামী লীগ করি, এখন অনেকেই নব্য আওয়ামী লীগার। তারা আমাদের চেয়েও যেন বড় আওয়ামী লীগার। কথায়-কথায় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। কিন্তু এটা কী মনের কথা! 

বুধবার সচিবালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেককেই দেখেছি, ১৫ আগস্টের আগে এক বক্তব্য দিয়েছেন, আবার ১৫ আগস্টের পর ভোল পাল্টে ফেলেছেন। এই ভোল পাল্টানো আওয়ামী লীগারদের প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগের বাংলাদেশকে দেখেছি। ১৫ আগস্টের পরের ছবিও দেখেছি। যখন সচিবালয়ের আশপাশে বিলবোর্ড, পোস্টার আর ব্যানারের ছড়াছড়ি দেখি, আমার ভয় হয়। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, চোখের পলকে ১৫ আগস্ট ঘটে গেল। যাদের দেখতাম নব্য আওয়ামী লীগার সেজে মুজিব কোট পরত, ১৫ আগস্টের পর তাদের মুজিব কোট লুকানোর দৃশ্যপটও ভুলিনি।

তিনি বলেন, আজ সারা বাংলাদেশের যত্রতত্র অনেকেই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল তুলেছেন। যদি হঠাৎ চোখের পলকে কোনো অঘটন ঘটে যায়, তখন কি এ সব ম্যুরাল রাখবেন? যারা করেছেন, তারাই ভেঙে ফেলবেন। এ দৃশ্যপট অনেক দেখেছি। 

শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সচিবালয়ে স্বস্তির পরিবেশ বজায় আছে বলেও দাবি করেন সরকারের এ মন্ত্রী। তিনি বলেন, সচিবালয়ে কথায়-কথায় মারামারি দেখেছি। সচিবালয়ে দাবি-দাওয়া নিয়ে কর্মবিরতি দেখেছি, ধর্মঘট দেখেছি। অচল করার হুমকিও দেখেছি।

যারা শেখ মুজিবকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে দিয়েছিল, তারাই আজ ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এ নেতা। তিনি বলেন, এটা হলো ইতিহাসের অমোঘ সত্য। 

সরকারের উন্নয়ন বিএনপি দেখে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। তারা পূর্ণিমার ঝলমলে আলোতে অন্ধকার দেখে।

সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব মো. খাইরুল ইসলাম প্রমুখ।

এসএইচআর/এইএ/আরএইচ