বিএনপিতে নারীনেত্রী বাড়ছে ১৫ শতাংশ
বিএনপির সব পর্যায়ের কমিটিতে নতুন করে ১৫ শতাংশ নারীনেত্রী অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা ও মহানগর কমিটিকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে দলটির কেন্দ্রীয় দফতর থেকে।
নির্বাচন কমিশনের শর্তানুযায়ী দলের সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে দলটির এই তৎপরতা বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
নির্বাচন কমিশনের শর্তানুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর সব পর্যায়ে ৩৩ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণের বাধ্য-বাধকতা শেষ হয়েছে গত বছরের ডিসেম্বরে। এরপর গত ৭ জুন নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর হালনাগাদ তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়।
বিএনপির নেতারা বলছেন, বিএনপিতে সব পর্যায়ের কমিটিতে বর্তমানে ১০ থেকে ২০ শতাংশের মতো নারীনেত্রী রয়েছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের শর্ত অনুযায়ী সেটা ৩৩ শতাংশ হতে হবে। তাই আগামী ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে দলের জেলা-মহানগর কমিটিগুলোকে আরও ১৫ শতাংশ নারী সদস্যের নামের তালিকা প্রস্তুত করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতরে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। তবে, এসব নারীদের বিএনপির প্রতি আনুগত্য থাকতে হবে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিএনপির সব কমিটিতে আগে থেকেই নারীনেত্রী রয়েছেন। এখন আবার নতুন করে আরও ১৫ শতাংশ নারী সদস্যের নামের তালিকা পাঠাতে আমরা চিঠি দিচ্ছি জেলা ও মহানগর কমিটিকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠি কেন্দ্রীয় দফতর থেকে দলের ৮১টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক/আহ্বায়ক, সদস্য সচিব/ ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক বরাবর পাঠানো বচ্ছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে- বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের গঠনতন্ত্রের বিধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দলের জেলা ও মহানগর কমিটিতে আরও ১৫ শতাংশ নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিএনপির জেলা ও মহানগর নির্বাহী কমিটি/ আহ্বায়ক কমিটির সভা করে কমিটির পদসংখ্যার ১৫ শতাংশ হারে নারীর নামের তালিকা প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে প্রস্তাব পাঠাতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য সুপারিশকৃত নারী সদস্যদের দলের প্রতি আনুগত্য, সম্পৃক্ততা, সক্রিয়তা, বয়স, যোগ্যতা, দল ও সমাজে গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনা করতে হবে। আশা করি, স্থায়ী কমিটির এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।
এএইচআর/এইচকে/জেএস