চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ
রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার পর এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা গেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের। জবাবে টিয়ারশেল ছুড়তে দেখা যায় পুলিশকে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি ছিল আজ। সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট-ছোট মিছিল নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা চন্দ্রিমা উদ্যানের পূর্ব পাশে জমায়েত হতে থাকেন।
বিজ্ঞাপন
এরপর তারা উদ্যানের ভেতর প্রবেশ করতে চাইলে উপস্থিত পুলিশের সদস্যরা বাধা দেন। পুলিশ জানায়, ভেতরে প্রবেশের অনুমতি নেই। তখন জোর করে বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রবেশ করতে চাইলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। তখন পুলিশ নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট ও লাঠিচার্জ করে। অন্যদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরাও পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
এদিকে ঘটনার সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান উত্তেজিত নেতাকর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করতে দেখা যায়। এসময় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
আমান উল্লাহ আমান বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে শহীদ জিয়ার কবর জিয়ারত করতে এলে পুলিশ বাধা দেয়। হঠাৎ রাবার বুলেট ছোড়ে এবং নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এতে উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি ছিল এটি। পুলিশ বিনা উস্কানিতে আমাদের ওপর হামলা করেছে।
পুলিশের রাবার বুলেটে আহত হওয়া মহানগর উত্তর বিএনপির নেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা অনুমতি নিয়েই কর্মসূচি পালন করতে এসেছি। নেতাকর্মীরা ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ অতর্কিতে হামলা করে।
আমিনুল নিজের বাম কান দিয়ে রক্ত ঝরে পড়া দেখিয়ে বলেন, ‘দেখেন পুলিশ আমাকে গুলি করে কী অবস্থা করেছে’।
উভয় পক্ষের সংঘর্ষে আমিনুল ইসলাম ছাড়াও ছাত্রদলের নেতা শিশির, এমদাদ ও আরিফ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও দাবি করেন বিএনপির নেতারা। সংঘর্ষের পর আমান উল্লাহ বলেন, আমাদের লাশ ফেলে দিলেও আজ আমাদের জিয়ার কবরে কর্মসূচি সফল করবই। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।
এ বিষয়ে ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুন্সি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এমএসি/এএইচআর/এসএসএইচ/এসএম