ন্যাপ

করোনার টিকাপ্রাপ্তি নিয়ে দেশবাসী উৎকণ্ঠিত দাবি করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা বলেন, দেশের মানুষ জানে না, কবে এবং কীভাবে তারা টিকা পাবেন।

তারা বলেন, ভারতের সঙ্গে তিন কোটি টিকার জন্য সরকার চুক্তি করেছে। তাতে দেড় থেকে আড়াই কোটি মানুষ হয়তো টিকা পাবে। করোনা টিকার প্রাপ্তি নিয়ে জনগণকে অনাস্থা দূর করতে হবে সরকারকে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তারা।

সবার জন্য বিনামূল্যে ভ্যাকসিন প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ন্যাপ নেতারা বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো অসৎ সিন্ডিকেট যাতে ব্যবসা করতে না পারে সে জন্য সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। টিকা সরবরাহ, পরিবহন ও বিতরণে কি ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে তা কেউ জানে না। কারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবেন তারও কোনো নীতিমালা আছে বলে জনগণের পরিষ্কার ধারণা নেই।

ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো ধরনের ব্যবসা করা চলবে না বলে উল্লেখ করে তারা আরও বলেন, মহামারিতে ভ্যাকসিন নিয়ে যাতে কোনো ব্যবসা ও দুর্নীতি না হয় সে ব্যাপারে সরকারকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। সাধারণ মানুষকে ভ্যাকসিন পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা চলবে না। সরকারকে মনে রাখতে হবে, করোনাকালে বিগত দিনগুলিতে প্রাপ্তির খাতায় তাকালে প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির দৃশ্যমান ব্যবধান পাওয়া যায়। সেসময় যারা মাস্কসহ বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের অনেক প্রচেষ্টাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে তারা এখনও বিদ্যামান।

করোনাকালে দেশ অনেক গুণীজন হারিয়েছে উল্লেখ করে ন্যাপের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, কবি-সাহিত্যিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি, শিক্ষক, বিজ্ঞানী, আমলা, ডাক্তার, সেবিকা, পুলিশসহ অনেক মানুষকে হারিয়েছে। আমরা আর কাউকে হারাতে চাই না। ভ্যাকসিন দুর্নীতির কারণে ভয়াল করোনা যেন আর কারও প্রাণ কেড়ে না নেয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে। ভ্যাকসিন নিয়ে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই।

এএইচআর/এসএম