আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, ১৫ই আগস্ট মুশতাক-জিয়া গংরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেই হত্যা করেননি, বাঙালি জাতির স্বপ্নকেও হত্যা করেছিল। মোশতাক-জিয়া বেঁচে থাকলে তারাই হতো জাতির পিতা হত্যার প্রধান আসামি। তারা মারা যাওয়ায় তাদের বিচার করা যায়নি। এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্য। 

মঙ্গলবার তুরাগের নেসারিয়া দাখিল মাদরাসা মাঠে তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত অসহায়-দুস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ঘাতক মুশতাক-জিয়া গংরা তখন অপরাজনীতি শুরু করেছিল, আইএসআই-এর সাথে হাত মিলিয়েছিল। তারা ভেবেছিল মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে হত্যা করতে পারবে। তারা বোঝেনি আদর্শকে হত্যা করা যায় না। জাতির পিতার কন্যা দেশে এসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে একত্রিত করে দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। সারা দেশের মানুষকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জনগণের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। মানুষের জন্য তিনি কাজ করছেন। 

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৭৫ এর খুনি ও বিএনপি-জামায়াতের লক্ষ্য এক ও অভিন্ন। জাতির পিতার ঘাতকদের উত্তরাধিকার হিসেবে কাজ করছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি ধারাবাহিকভাবে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারে ব্যস্ত। তারা টিকা নিয়ে মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। মির্জা ফখরুল গতকাল বললেন- তারা দুই কোটি মানুষকে করোনার সময় সাহায্য করেছেন। তারা কোথায় সাহায্য করেছেন? তারা ঘরে বসে বিবৃতি দেওয়া, বিদেশিদের দুয়ারে ঘুরে দেশকে নিয়ে মিথ্যাচার করা, ষড়যন্ত্র করা ছাড়া কিছুই করছে না। তাদের আরেক নেতা রুহুল কবির রিজভী মিথ্যার বাক্স নিয়ে বসে গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ব্যস্ত। 

বিএনপিকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মানবিকতার ওপরে কোন রাজনীতি নেই। মানুষের পাশে দাঁড়ান। দেশকে ভালোবাসার রাজনীতি করুন। ষড়যন্ত্রের রাজনীতি ছেড়ে, দেশের মর্যাদা নষ্টের রাজনীতি ছেড়ে মানবিক রাজনীতি সমর্থন করুন। বিদেশ-নির্ভর রাজনীতি বন্ধ করুন। ২০০১ সালের পহেলা অক্টোবরের পর বিএনপি জামায়াত সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করেছে, নারী শিশু ধর্ষণ করেছে, খুন করেছে। আমরা প্রতিশোধের রাজনীতি করিনি। জাতির পিতা আমাদের শিখিয়েছেন ভালোবাসার রাজনীতি, সৌহার্দের রাজনীতি। 

নাছিম বলেন, সবাইকে টিকা নিতে হবে, মাস্ক পরতে হবে ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। লকডাউনে মানুষের কষ্ট হয় তা আমাদের নেত্রী জানেন, তবে জীবনের চেয়ে মূল্যবান কিছু নেই। লকডাউন মেনে চলায় আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস। আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসান, মতিউর রহমান মতি, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দফতর সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমাদ্দার বাপ্পি, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধরণ সম্পাদক আনিসুর রহমান নাঈম প্রমুখ।

এইউএ/এনএফ