বিএনপির কৌশল মায়াকান্না আর লিপসার্ভিস বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

শনিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর আইডিইবি মিলনায়তনে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর ভোকেশনাল ও টেকনিক্যাল এডুকেশন দর্শন বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা এবং দুঃস্থদের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনাকালেও বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি একটাই। তা হচ্ছে পালাক্রমে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার আর মিথ্যাচার করা। বিএনপির কৌশল হলো মায়াকান্না আর লিপসার্ভিস।

'সরকার ষড়যন্ত্র করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে পিছিয়ে দিচ্ছে'- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগকে হাস্যকর এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে আখ্যা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। 

তিনি বলেন, বিএনপি এর আগে ভ্যাকসিন নিয়েও ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজেছিল। ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন বাঁচাতেই সরকার করোনার এই সংকটে বন্ধ রেখেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তাদের জীবন যদি না থাকে তাহলে শিক্ষিত হয়ে কী হবে? তাই আগে জীবন বাঁচাতেই সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
 
অন্ধকারে ঢিল না ছুঁড়ে সরকার কোথায় কী অনিয়ম করছে বিএনপিকে তা স্পষ্ট করে বলার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। 

তিনি বলেন, সবকিছুতে ষড়যন্ত্র খোঁজা বিএনপির স্বভাবগত বৈশিষ্ট্যে রূপ নিয়েছে। জনগণের প্রতি দায়িত্বশীলতার কথা ভুলে গিয়ে বিএনপি নেতাদের মুখ দিয়ে অসত্যের প্রলাপ বের হওয়াই স্বাভাবিক।

আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যারা তাকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল আজ তারাই ইতিহাস থেকে মুছে যাচ্ছে। ইতিহাস কোনো স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষুকে পরোয়া করে না। যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের জীবনেও ঘটেছে রক্তাক্ত বিদায়ের ট্র্যাজেডি। হত্যা হত্যাকেই ডেকে আনে, হত্যা কাউকে ক্ষমা করে না।

তিনি বলেন, করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এমন সংকটে সব রাজনৈতিক দলের একটাই রাজনীতি হওয়া উচিত, তা হলো মানুষকে বাঁচানো, বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানো। 

রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি পেশাজীবী সংগঠনগুলোকেও নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি ভ্যাকসিন গ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা ও অসহায় মানুষের প্রতি মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। 

তিনি বলেন, গড়ে তুলতে হবে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে ডিজিটাল বিপ্লব এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন জনশক্তি। করোনা পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে প্রশিক্ষিত জনবলের যে চাহিদা তৈরি হবে, সে চাহিদার বিপরীতে বাংলাদেশ যেন সর্বোচ্চ সুযোগ নিতে পারে, সে বিষয়টি আমাদের এখনই ভাবতে হবে। 

এ সময় আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারের উপযোগী জনশক্তি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ওবায়দুল কাদের। 

আইডিইবি'র সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম হামিদের সভাপতিত্বে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারি ইনস্টিটিউটে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও আইডিইবি'র সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান প্রমুখ। 

এইউএ/জেডএস