বিএনপির ঢাকা মহানগরের নতুন কমিটি দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) উত্তরার বাসায় মহানগর উত্তর-দক্ষিণের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর মহাসচিব এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, অগণতান্ত্রিক এই সরকার আমাদের সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা বিনষ্ট করে দিচ্ছে। এই কমিটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব পালন করবে। ভূমিকা রাখবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই দুই কমিটি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি দুটির প্রতি সারাদেশে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। এরা সবাই পরীক্ষিত নেতা। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন কমিটি গঠন নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। আমাদের প্রত্যাশা, এই কমিটির মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতির একটা গুনগত পরিবর্তন আসবে।

অত্যন্ত সক্রিয়, সচল এবং কার্যকরী এই আহ্বায়ক কমিটি অতি দ্রুত দলকে সুসংগঠিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, একটি কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কার্যকরী কমিটি গঠন করবেন তারা।

কবে নাগাদ মহানগর বিএনপির কাউন্সিল হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের যে গঠনতন্ত্র আছে, সেই নিয়ম অনুযায়ী কাউন্সিল করবে। সেটা তিন মাস।

বর্তমান কমিটি নিয়ে ক্ষোভ আছে যে মূল্যায়ন করা হয়নি- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। দলের যখন একটি কমিটি তৈরি করা হয়, তখন ছোট-খাটো সমস্যা থাকতেই পারে। একবারে পরীক্ষিত নেতাদের দিয়েই এই কমিটি করা হয়েছে। এতে প্রবীণ এবং নবীনের সমন্বয়ে করা হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে একটা কার্যকারী কমিটি হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নতুন আহ্বায়ক আবদুস সালাম, দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা আবদুল আলীম নকি, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, নবী উল্লাহ নবী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ।

এএইচআর/এমএইচএস