‘দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখের নিচে নয়’- এমনটাই দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘সরকারি হিসাবে করোনায় এখন পর্যন্ত ২০ হাজার ৯১৪ জন মারা গেছেন। কিন্তু পত্রিকাতেই আছে, বাড়িতে মৃত্যুর সংখ্যা ৬৫ ভাগ। এই ২০ হাজার ৯১৪ জনের সঙ্গে ওই ৬৫ ভাগ যোগ করেন। তাহলে এই সংখ্যা এক লাখের নিচে কখনোই না।’

সোমবার (২ আগস্ট) দুপুরে অনলাইনে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন লালমনিরহাটে বিএনপির উদ্যোগে জেলার কোভিড-১৯ হেল্প সেন্টারের উদ্বোধন এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের একটি পত্রিকার হেডলাইন হচ্ছে- ‘করোনা নিয়ে সরকারের নানা অসঙ্গতি’। এই কথাটা আমরা বার বার বলে আসছি। ইফ ইউ ডোন্ট গেট দ্যাট একজ্যাক্ট ডেটা- আপনি সমাধান করবেন কী করে? সুতরাং আপনি প্রথমেই ভুল করছেন এবং জেনেশুনে ভুল করছেন। আজ সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এটা কোনো দায়িত্বশীল সরকার করতে পারে না।

সরকার ৫০০ টাকার জিনিস ৫০ হাজার টাকায় নেয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ৩০০ টাকার জিনিস তারা ৩০০০ টাকায় নেয়, পাঁচশ টাকার জিনিস তারা ৫০ হাজার টাকায় নেয়। এখন পর্যন্ত যতগুলো তথ্য আমাদের কাছে এসেছে এবং পত্রিকায় বেরিয়ে এসেছে, সেই মতে করোনাকালে দুর্নীতি করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ড্রাইভার পর্যন্ত ৪-৫ কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে।

এখন পর্যন্ত সংক্রমণে ‘আক্রান্ত ও মৃত্যুর’ সংখ্যা নিয়ে সরকারের যে হিসাব তা এতোটুকুও সঠিক নয় বলে উল্লেখ করেছেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সরকারের হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ১২ লাখ ৬৪ হাজার ৩২৮ জন গতকাল পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন। এটা একদম ডাহা মিথ্যা কথা। মানুষজন টেস্টই তো করতে পারছেন না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত কয়েকটি হাসপাতালে আইসিইউ বেড না থাকলেও স্বাস্থ্য অধিদফতর তথ্য দিচ্ছে যে আইসিইউ শয্যা আছে। ভোলা, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, জামালপুর- স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে এই পাঁচ জেলায় করোনা রোগীদের জন্য ২০টি আইসিইউ রয়েছে। কিন্তু আসলে এগুলোতে কোনো আইসিইউ নাই।

লালমনিরহাট জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক।

এএইচআর/এমএইচএস