আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, করোনাভাইরাস যেমন বারবার রূপ পরিবর্তন করে, বিএনপি-জামায়াত-হেফাজতও তেমনি বারবার নিজেদের রূপ পরিবর্তন করছে। এদের সুর নিয়মিত পরিবর্তন হয়।

শনিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে অসহায় দুঃস্থ, দিন মজুরের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের উদ্যোগে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, একই মানুষ একই মুখে ছয় থেকে বারো রকমের কথা বলে। কখনো টিকা নিয়ে অপপ্রচার, কখনো মাস্ক পরা নিয়ে বিভ্রান্ত করতে তারা ব্যস্ত। লকডাউন নিয়ে তারা একেক সময় একেক কথা বলে। করোনা থেকে যেমন আমাদের মুক্তি পেতে হবে, তেমনি এই সাম্প্রদায়িক অপরাজনীতিবিদদের কাছ থেকেও সচেতন থাকতে হবে।

তিনি বলেন, যারা মানুষের জন্য রাজনীতি করে না, মানুষকে ভালোবাসে না, তারা গুজবের ফ্যাক্টরিতে বসে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ব্যস্ত। তারা মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে, টিকা নিয়ে, লকডাউন নিয়ে অপপ্রচার করছে। তারা টিকা নিয়ে প্রথমে অপপ্রচারে ব্যস্ত ছিল, তারপর নিজেরাই টিকা নিয়েছে। বিভ্রান্তি আর গুজব ছড়ানোই তাদের রাজনীতি।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ একটি পেশাজীবী সংগঠন। কৃষিবিদ যারা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত, তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ কাজ করে। পাশাপাশি জাতির পিতার আদর্শের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, যারা সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠ বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ। বিএনপি-জামায়াত সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে, অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ সব সময় মাঠে আছে।

নাছিম বলেন, করোনার শুরু থেকেই বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ নানান কর্মসূচি পালন করে আসছে। আমাদের সদস্যরা নিজেদের টাকায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। আমরা সাধ্যমতো মানুষের পাশে থাকব।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব এম আমিনুল ইসলাম, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মহাসচিব মো. খায়রুল আলম প্রিন্স, দফতর সম্পাদক এম মিজানুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাকসুদ আলম মুকুট, কৃষিশিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক দেবাশীষ ভৌমিক, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন ঢাকা মেট্রোর সাধারণ সম্পাদক তাসদিকুর রহমান সনেট প্রমুখ।

এইউএ/এমএইচএস