ড. হাছান মাহমুদ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠিত প্রগতিশীল ন্যাপ (ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি) সবসময়ই অপরাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার।

রোববার (২৫ জুলাই) দুপুরে ন্যাপের ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। প্রগতিশীল ন্যাপের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও মাওলানা ভাসানীর দৌহিত্র পরশ ভাসানী সভায় সভাপতিত্ব করেন।

মাওলানা ভাসানীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি ক্ষমতার জন্য নয়, রাজনীতি করেছেন মানুষের কল্যাণে। এই নির্মোহ জননেতার কাছ থেকে দেশের রাজনীতিবিদদের অনেক কিছু শেখার আছে। 

প্রগতিশীল ন্যাপের জনমুখী কার্যক্রমের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যখন দেশে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টায় দিনের পর দিন মানুষকে অবরুদ্ধ করে রাখা হচ্ছিল এবং পেট্রোল বোমায় ঝলসে শত শত মানুষকে হত্যা, হাজারো মানুষকে দগ্ধ করা হচ্ছিল, তখন যেকটি রাজনৈতিক দল প্রতিবাদমুখর ছিল, প্রগতিশীল ন্যাপ সেগুলোর অন্যতম।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযোদ্ধা, মাওলানা ভাসানী এবং জাতীয় চার নেতার স্বপ্নের ঠিকানায় বাংলাদেশকে পৌঁছে দেওয়া। এজন্য অন্য দলগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে পরশ ভাসানীর নেতৃত্বে প্রগতিশীল ন্যাপ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অক্সিজেন ও টিকা পাঠানোয় ভারত সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি প্রকৃত বন্ধুত্বের উদাহরণ। আমি আশা করি, বাকি প্রতিশ্রুত টিকাও অচিরেই আসবে। 

বিধিনিষেধ নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা সংক্রমণ কমাতে না পারলে হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা ক্রমাগত বাড়িয়ে লাভ হবে না। প্রত্যেককে নিজ ও পরিবারের সুরক্ষার জন্য সরকারপ্রদত্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

প্রগতিশীল ন্যাপের সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী কিসমতের সঞ্চালনায় সভায় দলের সহ-আহ্বায়ক মোহা. ইলিয়াস, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. বাবুল আহমেদ, মোহাম্মদ মনিরুল হাসান মনির, মৌসুমী দেওয়ান মিনু এবং জেলা প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

পিএসডি/আরএইচ