সরকারের উদাসীনতা ও অযোগ্যতার কারণেই ‘করোনা সংক্রমণে জনজীবন বিপন্ন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সরকারের উদাসীনতা ও অযোগ্যতার কারণে জনগণের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

বুধবার (২১ জুলাই) শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এসময় মাজারের সামনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিএনপির নেতারা ফাতেহা পাঠ করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সবসময় ঈদের দিন দলীয় কর্মসূচি শেষ করে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতেন। ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে প্রতি ঈদে দলের প্রতিষ্ঠাতার কবর জিয়ারত করে আসছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আল্লাহতালার কাছে এই দোয়া করেছি যে, এই ভয়াবহ মহামারি যা সারাবিশ্বে সমগ্র মানবজাতিকে বিপন্ন করে ফেলেছে, তা থেকে রক্ষা করুন। দেশের মানুষকে ক্ষমা করুন এবং মহামারি থেকে তাদেরকে মুক্ত করুন।

ঈদ উদযাপন প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, এমন একটা সময়ে আমরা ঈদুল আজহা উদযাপন করছি, যখন আমাদের চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কারারুদ্ধ হয়ে আছেন অসুস্থাবস্থায়। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তিনি দেশান্তরী হয়ে নির্বাসিত অবস্থায় আছেন। লাখ লাখ মানুষ আজকে মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হচ্ছে, গুম হয়ে যাচ্ছে। এই একটা অবস্থা বাংলাদেশে বিরাজ করছে। গণতন্ত্রহীনতার এই সময়ে আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা করেছি যেন এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। এদেশের মানুষকে সত্যিকার অর্থেই ১৯৭১ সালের যে স্বাধীনতার চেতনা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা সেটি প্রতিষ্ঠা করতে আমাদেরকে সুযোগ করে দেন।

দেশবাসীকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সবাই মাস্ক পরবেন এবং নিজেকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করবেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয় ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ দেশবাসীকে ঈদে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে আমি ঈদ মোবারক জানাচ্ছি এবং দোয়া করছি সবার জন্য তারা যেন করোনা মহামারি থেকে মুক্ত হতে পারেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান প্রমুখ।

এএইচআর/জেডএস