হালকা বর্ষণ ও কোরবানির পশুবাহী যানবাহনের কারণে মহাসড়কের কোথাও কোথাও চলাচলে ধীরগতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার (১৭ জুলাই) সরকারি নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এ তথ্য জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের অধিকাংশ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী-গাজীপুর অংশে নির্মাণকাজ চলায় সড়ক সংকুচিত হয়ে গেছে। তাই এই অংশে যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে। উত্তরবঙ্গগামী পণ্যবাহী যানবাহনগুলো আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল-চন্দ্রা হয়ে চলাচল করলে টঙ্গী-গাজীপুর অংশে যানবাহনের চাপ কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

এ অবস্থায় হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দক্ষতার সঙ্গে পরিবহন ও মহাসড়ক ব্যবস্থাপনার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, পরিবহনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অনেক পরিবহন নিয়ম ও শর্ত মেনে চলছে না।

পরিবহন ও মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মন্ত্রী বলেন, নিয়ম মেনে যাত্রী পরিবহন করতে হবে। তা না হলে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিআরটিএকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এবারের শোকের মাসের (আগস্ট) প্রধান কর্মসূচি হচ্ছে অসহায়, খেটে খাওয়া, দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়া আলোচনা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, মসজিদ-মন্দির-গির্জা-প্যাগোডায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শোকের মাসের কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন গণমানুষের রাজনীতি করেছেন। তাই শোকের এই মাসে সাহায্য সামগ্রী নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে। দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গ্রামে গ্রামে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে শহর থেকে ভাইরাস বহন করে গ্রামে নিয়ে যেতে পারেন, এতে গ্রামের মানুষ আক্রান্ত হবে। এ অবস্থায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং ভিড় এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।

সবাইকে শতভাগ মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কোনো ধরনের শৈথিল্য না দেখাতে আহ্বান জানান তিনি।

এইউএ/এমএইচএস