করোনা কোনো ছোট বিষয় নয় উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, বিশ্বের সব দেশ ঐক্যবদ্ধভাবে করোনা মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশেও সম্মিলিতভাবে করোনা মোকাবিলা করতে হবে।

শুক্রবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় কাকরাইল জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে সভা ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় যুব সংহতির উদ্যোগে খাবার বিতরণ করা হয়।

জাপা চেয়ারম্যান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের সব রাজনৈতিক দল, এনজিও এবং পেশাজীবীদের নিয়ে করোনা মোকাবিলা করতে হবে। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় সরকারের যেকোনো কর্মকাণ্ড সফল করতে আমরা আগ্রহী।

জিএম কাদের আরও বলেন, পৃথিবীর প্রায় সব দেশ তাদের নাগরিকদের টিকা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে চাইছে। কিন্তু আমাদের দেশে টিকা নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারছে না। যেখানে ২৭ থেকে ২৮ কোটি ডোজ টিকা দরকার, সেখানে রেডিও টিভিতে সরকার ঘোষণা করছে পাঁচ লাখ ডোজ, ১০ লাখ ডোজ টিকা আসছে। বাকি টিকা কখন, কোথা থেকে আসবে তা কেউ জানে না। এটা অত্যন্ত হতাশাজনক।

টিকা করোনা মোকাবিলার প্রধান অস্ত্র বলে মন্তব্য করে জিএম কাদের বলেন, সবাইকে যত দিন টিকা না দেওয়া যাবে তত দিন সরকারিভাবে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। আবার লকডাউন দিলে কর্মহীন মানুষকে প্রতি মাসে অন্তত ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। 

তিনি বলেন, কারো ঘরে খাবার না থাকলে সে কখনোই লকডাউন মানবে না। যার ঘরে ক্ষুধার জ্বলায় শিশু কাঁদবে সে বাইরে বের হবেই। সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় দেশের বাজেট তৈরি হয়। ঐ টাকার মালিক দেশের সাধারণ মানুষ। করোনাকালে দেশের মানুষ কষ্টে আছে, তাদের বাঁচাতে হবে। তাই অন্তত দুই কোটি পারিবারকে মাসে ১০ হাজার করে টাকা দিতে হবে।

জাতীয় যুব সংহতি আহ্বায়ক শাহরিয়ার আসিফের সভাপতিত্বে এবং জাতীয় যুব সংহতির সদস্য সচিব আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় গোলামের জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. জহিরুল আলম রুবেল, হারুন আর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএইচআর/ওএফ