স্বাধীনতার ৫০ বছরেও কারখানা শ্রমিকদের জীবন নিরাপদ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের)।

তিনি বলেন, প্রতিবছর কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অসংখ্য শ্রমিকের জীবন যায়। প্রতিটি দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন হয়। প্রতিবেদন আসে তাতে কিছু সুপারিশও থাকে। কখনও জনগণ সেটা জানতে পারে, কখনও তা গোপনই থেকে যায়। তবে বাস্তবায়ন হয় না বললেই চলে।

রোববার (১১ জুলাই) দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালীর পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা উল্লেখ করেন জিএম কাদের। 

তিনি বলেন, প্রায় ক্ষেত্রেই আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যায় দোষীরা। তাই থামছে না অগ্নিকাণ্ড, থামছে না মৃত্যুর মিছিল।

গত ১৫ বছরে অগ্নি-দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৩১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৩৭৪ জন। এরমধ্যে একটি বিশাল অংশই শ্রমিক শ্রেণির মানুষ। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর ইতিহাসের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেডের ১১৭ জন পোশাক শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যায়, আহত হয় ২শ’র বেশি শ্রমিক। প্রতিটি দুর্ঘটনায় একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষের মৃত্যুতে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয় দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারগুলোতে।

বিল্ডিং কোড মেনে তৈরি হয় না ভবন বলে দাবি করে সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কারখানা তৈরিতে মানা হয়না সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। অগ্নি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকে না কারখানায়। তদারকি নেই। আর দায়িত্বশীলদের জবাবদিহিতা নেই বললেই চলে। এ কারণেই কারখানায় আগুন লাগলে রেহাই মেলে না শ্রমিকদের। 

অগ্নিকাণ্ড কমাতে এবং শ্রমিকদের জীবন বাঁচাতে সরকারকে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান জিএম কাদের। 

এএইচআর/এসএম