মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যদি আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে চাই, স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করতে চাই এবং দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই, তবে আন্দোলন ছাড়া বিকল্প কিছু নেই।  

শুক্রবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। তরুণদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, সামনে এগিয়ে আসুন। আর সময় নেই। এখন জেগে উঠতে হবে। জেগে উঠতে হবে এবং দেশকে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ আন্দোলন-সংগ্রাম কোনো ব্যক্তি বা দলের জন্য নয়। এ আন্দোলন দেশের মানুষের জন্য। আজ জাতির সব অর্জন হরণ করে নেওয়া হয়েছে। তা ফিরিয়ে আনতে হবে। সেই দায়িত্ব বিএনপিকেই পালন করতে হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ব এবং দেশনেত্রীকে ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করব।

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের প্রশংসা করে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের জন্য তিনি আজও কারাবরণ করে আছেন। দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে লড়াই-সংগ্রাম করে, দীর্ঘদিন নির্যাতনের মুখে পড়ে বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে তিনি দলকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নিয়ে এসেছেন তিনবার। বর্তমান পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়াকে স্মরণ করা অত্যন্ত জরুরি। আজ তিনি কারাগারে, গণতন্ত্র কারাগারে।

বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ খালেদা জিয়াবন্দি হওয়ার দিনটি পালন উপলক্ষে এ ভার্চুয়াল আলোচনার আয়োজন করা হয়।

জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম প্রমুখ। 

এএইচআর/আরএইচ