খালেদা জিয়ার কোভিড-১৯ পরবর্তী জটিলতা নিরসন হলেও বর্তমানে লিভার, কিডনি ও হার্টের বিভিন্ন জটিলতায় তীব্র অসুস্থ অবস্থায় নিজ বাসভবনে চিকিৎসাধীন। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো তাকে আরও উন্নত সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। যা বাংলাদেশে সম্ভব নয়।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এসব কথা বলেন।

প্রিন্স বলেন, আপনারা জানেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কোভিডে-১৯ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৫৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ সময় তার স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতি কতটা জটিল এবং শোচনীয় ছিল তা চিকিৎসকরা ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন। মেডিকেল বোর্ড উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে আরও উন্নত সেন্টারে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। যা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। তাই তার উন্নত ও সুচিকিৎসা জনগণের প্রাণের দাবি।

সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ভয় পায় তার জনপ্রিয়তা ও নেতৃত্বকে। এজন্যই ফরমায়েশি রায়ের ওপর ভিত্তি করে খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রেখে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়া তার উন্নত চিকিৎসার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চায় সরকার।

খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার সমস্ত দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে বলে উল্লেখ করে এমরান সালেহ আরও বলেন, ক্ষমতা জবরদখলকারী সরকারের মন্ত্রীরা রাজনৈতিক হীন উদ্দেশে আইনের অপব্যাখ্যা দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলসহ বিরোধী দল ও জনগণকে নেতৃত্বশূন্য করার ষড়যন্ত্র করছে।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরিহার করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান প্রিন্স।

এএচইআর/এসএম