বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘সভ্য দেশ ও সভ্য সরকার হলে অবশ্যই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিত। কিন্তু এই অসভ্য সরকার সেটা করেনি আর করবেও না। আমরা তাদের কাছ থেকে আর আশাও করতে পারি না।’

রোববার (২৭ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী দল- খুলনা আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘তারপরও আমরা তার চিকিৎসার জন্য জোর দাবি জানাব। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যদি কিছু হয়, তাহলে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে আজকের এই সরকারকে। আজ হোক কিংবা কাল হোক, মাফ পাওয়ার কোনো সুযোগ আপনাদের নেই।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘যখন আমি ঘরের মধ্যে স্লোগান শুনি তখন আমি ভীত হয়ে যাই। আর এই স্লোগান যখন আমি রাজপথে শুনি তখন আমি সাহসী হয়ে যাই।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এই স্লোগান আমাদের ঘরের মধ্যে নয়, রাজপথে দিতে হবে। সেই প্রস্তুতি নিন। এই স্লোগান যখন আওয়ামী সরকারের কানে পৌঁছাবে, আর এই ছোট ছোট মিটিংয়ের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হব, তখন এই স্লোগান স্লোগানে এই সরকার নড়বড়ে হয়ে যাবে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিএনপি ছাড়া কাউকেই চোখে দেখে না। বিএনপি ছাড়া তাদের কথা বলার কোনো বিষয় নেই। দেশে করোনায় হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন। টিকা নিয়ে কারচুপি করলেন, টিকার কারণে করোনা পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাচ্ছে। লুট করে টাকা বিদেশে জমা হচ্ছে এই সম্পর্কে কোনো কথা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা লুট হয়ে গিয়েছে সেই সম্পর্কে কোনো কথা নেই।’

‘বিএনপি হচ্ছে অত্যাচারের ব্রান্ড’- আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আপনারা ব্রান্ড শব্দটা শিখলেন কবে? অবৈধ ভাবে টাকা কামিয়েছেন। অবৈধভাবে এই সরকারকে ব্যবহার করে টাকা কামিয়ে ব্রান্ডের কাপড় পরেন, আর বিদেশ থেকে সেলাই করে নিয়ে আসেন। আমরা এসব বুঝি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন বিদেশ থেকে কোনো উপহার পেতেন, তার সেই সমস্ত উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জামা হতো।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার অত্যাচারের ব্রান্ড, খুনের ব্রান্ড, গুমের ব্রান্ড, লুটের ব্রান্ড। অত্যাচারের যত সীমা রয়েছে এই সরকার সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। দেশের এই সরকারও সেই সব ফ্যাসিস্ট সরকারদের অন্তর্ভুক্ত। তাদের মতো এই সরকারেরও করুণ পরিণতি হবে।’

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারি হেলাল, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।

এমএইচএন/ওএফ