বাংলাদেশে নিরাপত্তা হেফাজতে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়- হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের এমন অভিযোগ অসত্য, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যমূলক বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রোববার (২৭ জুন) সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ দাবি করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এই অভিযোগ কোনো বিশেষ মহলের ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতারই অংশ। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ কিংবা আদালতের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা ব্যক্তিকে বিদ্যমান বিধিবিধান মতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

বিভিন্ন সময়ে গুমের অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পরবর্তীতে এসব মিথ্যা প্রমাণিত হয়, যা অতি সম্প্রতি দেখা গেছে।

তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে জনগণের সম্পদ বিনষ্টের সময় বাধা দিলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের ওপর সরাসরি হামলার ছবিও দেখা যায়, দেখা যায় থানায় আক্রমণসহ আগুন দেওয়ার ঘটনাও। সরকারি অফিসে হামলা চালিয়ে নথিপত্রে আগুন দেওয়ার ঘটনাও দেখা যায়। এসব ঘটনা নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বক্তব্য বিবৃতিতে কিছুই বলে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগুন সন্ত্রাসের শিকার হয়ে জীবন্ত মানুষ যখন দগ্ধ হয় তখন মানবাধিকার সংগঠনগুলো কোথায় থাকে? কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ প্রত্যাশিত নয়। হেফাজতে কোনো অপরাধমূলক কাজ হলে নিজস্ব আইন অনুযায়ী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের শাস্তির আওতায় আনার নজির রয়েছে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার জনমনে শান্তি ও স্বস্তি বিধানে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষার পাশাপাশি নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সরকারের অগ্রাধিকার। আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে জনমানুষের অধিকার আদায়ে সাহসী ভূমিকা পালন করে আসছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাম্প্রতিককালে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ফেনীর নুসরাত, বরগুনার রিফাত শরিফ, কক্সবাজারে মেজর সিনহাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এবং নারীর প্রতি অমর্যাদাকর প্রতিটি ঘটনায় সরকার কঠোর অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। সব অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং কাউকেই ছাড় দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। করোনাকালেও অর্থনৈতিক সূচকগুলোতে ইতিবাচক ধারা এবং প্রবৃদ্ধি বিস্ময় জাগিয়েছে, যা অনেকের সহ্য হয় না। এ অব্যাহত অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে দেশ ও সরকারবিরোধী এসব তৎপরতা পরিকল্পিত কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কি না তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক এবং একচোখা দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় বহনকারী বিবৃতি বাংলাদেশের ইমেজ নষ্ট করার সংঘবদ্ধ অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়।

এইউএ/এসএসএইচ