এরশাদ পার্টি কখনও কাদের পার্টি হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা এরশাদ।

তিনি বলেন, এরশাদকে আমরা মরে যেতে দেবো না। আমি বিদিশা কথা দিচ্ছি, এরশাদ সাহেবের অসমাপ্ত কাজগুলো আমি পূরণ করব। আমার বড় দুই ছেলেকে ও লাঙল নিয়ে সারা দেশ চাষ করব। এতে যদি কোনো বাধা আসে আমি মাথা পেতে নেব। আমি কোনো বাধাকে ভয় পাই না।

শনিবার (২৬ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল কংগ্রেস আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিদিশা এরশাদ বলেন, এ প্রেসক্লাব থেকে আমি ঘোষণা দিচ্ছি, আজ থেকে আমি রাজপথে চলবো। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার ফোন আসে। ফোনে শুধু জাতীয় পার্টির হাহাকার শোনা যায়। তাদের একটাই কথা, ম্যাডাম আপনি কবে হাল ধরবেন? ম্যাডাম আপনি রাজনীতিতে আসেন, আমরা আপনার সঙ্গে আছি। আমরা এরশাদ সাহেবের সৈনিক। জাতীয় পার্টিকে বাঁচান আপনি।

তিনি বলেন, এসব পার্টি কখনও কাদের পার্টি হবে না। এটা সম্ভব নয়। দ্রুতই আমরা ঘোষণা দেব কীভাবে এগিয়ে যাব। তার একটি চিত্র আপনাদের সামনে দ্রুতই উপস্থাপন করা হবে। 

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হওয়ার ইচ্ছে নেই জানিয়ে বিদিশা বলেন, নিজের কোনো খায়েশ নেই যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হব। আমি কাজ করতে পারি একজন কর্মী হিসেবে। ম্যাডাম রওশন এরশাদকে অসম্মান করা হয়েছে। আমরা তার সম্মান ফেরত দিতে চাই। আমরা চাই যতদিন উনি বেঁচে আছেন ততদিন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে বেঁচে থাকবেন। বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে যেন জাতীয় পতাকা বুকে নিয়ে তার মৃত্যু হয়। আমরা সেটাই চাই। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও রওশন এরশাদের ত্যাগের কোনো শেষ নেই। তারা সারা জীবন ত্যাগই করে গেছেন। তাদের পুরোটা শ্রম ছিল পার্টির পেছনে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন বিগত সময়ে আমি ২৭ দিন টর্চার সেলে ছিলাম। আমাকে রিমান্ডে নিয়ে নখগুলো উপড়ে ফেলা হয়েছিল। বর্তমান সরকার (আওয়ামী লীগ) তখন আমাকে সাহায্য করেছিল। আর ওনাদের প্রতিবাদের কারণে তারা আমাকে বেশি দিন আটকে রাখতে পারেনি। কিন্তু তারা আমাকে অনেক অত্যাচার অবিচার করেছে। কিন্তু আমি ভয় পাইনি। আমি ভয় পাওয়ার মেয়ে নয়। আমার হারানোর কিছু নেই। আমি চাই রাষ্ট্রকে, সরকারকে সহায়তা করতে। একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি।

স্মরণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট শেখ শহীদুজ্জামান, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজি মামুনূর রশিদ, সাবেক মন্ত্রী এম নাজিমুদ্দিন আল আজাদ প্রমুখ।

এমএইচএন/এসকেডি