মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন ‘আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতা দখল করে পাকিস্তানি বাহিনীর মতোই মানুষের সব অধিকার খর্ব করছে।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। সেই চেতনা ধ্বংস করে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ভূলুণ্ঠিত করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য তারা আজ মানুষের ওপর অত্যাচার-জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।’

শুক্রবার (২৫ জুন) রাত সাড়ে নয়টার দিকে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। ‘বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের দেহাবশেষ পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা ও খালেদা জিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি। 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি সবসময় স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। রণাঙ্গনে যারা যুদ্ধ করেছেন, তাদের সংগঠিত দল বিএনপি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা চেয়েছিল, যুদ্ধ করেছিল, সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিএনপি সংগ্রাম করছে, লড়াই করছে। আমি বিশ্বাস করি জনগণের সেই সংগ্রাম ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে সফল হবে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন এবং গণতন্ত্র মুক্তি পাবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে স্বাধীনতার সত্য ইতিহাস বিকৃত করছে। তারা তাদের তৈরি করা ইতিহাস আজ জাতির সামনে, পরবর্তী প্রজন্মের সামনে নিয়ে আসছে। সত্যিকার অর্থেই যারা মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছিলেন, নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে করেছিলেন আজ তারা সবাই উপেক্ষিত।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার আজ একবারের জন্য মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানীর নাম উচ্চারণ করে না, তাজউদ্দিন আহমেদের অবদানের কথা একবারের জন্য বলে না। জিয়াউর রহমানকে খলনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যত বিকৃত ইতিহাস আছে, সেগুলোর ক্যাম্পেইন শুরু করেছে তারা।’ 

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস প্রমুখ। 
 
এএইচআর/আরএইচ