কওমি মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভয়াবহ ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানোর দাবি জানিয়েছে জাতীয় তাফসীর পরিষদ। সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা বলেন, কওমি মাদরাসা এখনও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার আদর্শ মান ধরে রেখেছে। একমাত্র কওমি মাদরাসাতেই সব শিক্ষা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হয়। এখানে কোনো প্রাইভেট পড়ানো, কোচিং ও নোট বাণিজ্য নেই।

সোমবার (২১ জুন) দুপুরে সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক মুফতি মুহিউদ্দীন জিলানীর পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতারা এসব কথা বলেন। এতে স্বাক্ষর করেন তাফসীর পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মহাসচিব হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব প্রিন্সিপাল মুফতি বাকি বিল্লাহ, মুফতি ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, হাফেজ মাওলানা নাযীর আহমাদ শিবলী।

তারা দাবি করেন, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকরা পুরোপুরি প্রতিষ্ঠানে মনোনিবেশ করেন। তাদের আয় উপার্জনও সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠানের দেওয়া বেতন-ভাতার ওপর নির্ভর করে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাদের আয়-উপার্জন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে আছে। উপার্জনের জন্য বারোয়ারি ধান্দা না করে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় একনিষ্ঠতার এই শুদ্ধবাদীতাই যেন কওমি শিক্ষকদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নেতারা বলেন, আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, এসব শিক্ষকদের সম্মানে এবং তাদের মানবিক দিক বিবেচনা করে অবিলম্বে সব কওমি মাদরাসা খুলে দিন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে পর্যায়ক্রমে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে দিন।

এএইচআর/এমএইচএস