বরেণ্য রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ নাসিমের প্রয়াণে আওয়ামী লীগে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে, তা পূরণ হবার নয়। এমনটাই মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মোহাম্মদ নাসিম দল ও দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তিনি ১৪ দলের মুখপাত্র হিসেবে অন্যান্য দলগুলোর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে রাজনীতি করেছেন। একেবারে কট্টরপন্থী বিরোধী দলগুলোর সঙ্গেও তিনি সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন এবং তাদের বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতাও করেছেন। 
তিনি আরও বলেন, মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতেও নাসিম ঘরে বসে থাকেননি। নেতাকর্মীদের নিয়ে সাধারণ মানুষের খোঁজখবর নিয়েছেন, ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন। মানুষের সেবা করতে গিয়েই তার মৃত্যু হয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, করোনাকালে সবাই যখন ঘরে, তখনও সভানেত্রীর নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জন সেবায় কাজ করছেন। এ পর্যন্ত করোনায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩০ জন সংসদ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়াও আমাদের প্রায় এক হাজার নেতাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

আলোচনা সভায় স্মৃতিচারণ করেন নাসিমের ছেলে প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়। তিনি বলেন, বাবা সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। করোনাকালীন সময়ে তিনি সকলের নিষেধ উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষের কাছে ছুটে গেছেন। সবসময় বলতেন আমার তিনটি পরিবার। প্রথম পরিবার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা, দ্বিতীয় পরিবার হচ্ছে সংবাদকর্মীরা, তৃতীয় পরিবার তোমরা।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এম.পি। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিএমএ সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. দিলীপ রায়সহ অন্যান্যরা।

আরএইচটি/এমএইচএস