আমির হোসেন আমু

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, এরশাদ ও খালেদা জিয়াবিরোধী আন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মোহাম্মদ নাসিমের সাহসী অবদান ভোলার নয়। শত প্রতিকূল অবস্থায়ও কখনও পিছু হটেননি তিনি। 

রোববার (১৩ জুন) ১৪ দলের উদ্যোগে ভার্চুয়াল মাধ্যমে জোটের সাবেক মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আমু বলেন, নাসিম ছিলেন আওয়ামী লীগের একজন পরীক্ষিত নেতা। বাবা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী যেমন বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত ছিলেন, তেমনি মোহাম্মদ নাসিমও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত বিশ্বস্ত ছিলেন। নাসিমের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তায় সেই বিশ্বাসের প্রতিফলন ছিল। রাজনীতিতে মোহাম্মদ নাসিমের সাহসী ভূমিকা অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। 

তিনি বলেন, মোহাম্মদ নাসিম ১৪ দলকে জাতীয় পর্যায়ে বিরাট পরিচিতি দিয়ে গেছেন। তার সেই ত্যাগ ও তিতিক্ষার পথ ধরেই ১৪ দলকে আরও সংগঠিত করা হবে।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, একদিকে রাজনীতি অন্যদিকে মন্ত্রণালয়- দুই ক্ষেত্রেই দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে গেছেন মোহাম্মদ নাসিম। লক্ষ্য অর্জনে সব সময় অটুট থাকতেন তিনি।

স্মরণ সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। অসাম্প্রদায়িক সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার অঙ্গীকার থেকে কখনও বিচ্যুত হননি ‍তিনি।
 
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, দেশ আজ করোনা, জঙ্গি ও দুর্নীতির ভাইরাসে আক্রান্ত। এই তিন ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে মোহাম্মদ নাসিমের মতো একজন সাহসী দেশপ্রেমিক আজ বড় বেশি প্রয়োজন।

আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কেন্দ্রীয় নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাতীয় পার্টি-জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, গণআজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে শিকদার, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের নেতা ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণতন্ত্রী পার্টির নেতা ডা. শাহাদাৎ হোসেন, ন্যাপ নেতা ইসমাইল হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ প্রমুখ।

এইউএ/আরএইচ/জেএস