এখনও আন্দোলনের ডাক দেওয়ার সময় আসেনি : মির্জা ফখরুল
এখনও আন্দোলনের ডাক দেওয়ার সময় আসেনি, সময় হলেই আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (৭ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ছাত্র-যুবকরা মাঠে না নামলে আন্দোলনের সফলতা আসবে না। ছাত্র শ্রমিক যুবক তরুণদের সংগঠিত করে তাদের নেতৃত্বে রাজপথে গণঅভ্যুত্থান হবে। তরুণদের ছাড়া গণঅভ্যুত্থান হবে না।
তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এখন প্রতিবাদী মানসিকতা নেই দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যখন তরুণ ছিলাম তখন আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতাম। এখন আমাদের বয়স হয়েছে। আমানউল্লাহ আমানরা (ডাকসুর সাবেক ভিপি) ৯০-এ তরুণ বয়সে তারা প্রতিবাদ করেছেন। এখন আমানউল্লাহ আমানদের আন্দোলনের ডাকে তরুণরা সাড়া দিচ্ছে না। কেন দিচ্ছে না? ৯০ আর ২০২১ এক নয়। এখনকার তরুণদের মধ্যে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মানসিকতা দেখি না। তারা হুকুমের অপেক্ষায় থাকে, আমরা কারও হুকুমের অপেক্ষায় থাকতাম না।
বর্তমান সরকার জনগণের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে ক্ষমতায় টিকে আছে সরকার। আওয়ামী লীগ কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাই সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। এই সরকার জনগণের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। এ সরকার মিডিয়া, বিচারব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ করেই ক্ষমতায় এসেছে। বিএনপি গণতন্ত্রকে হত্যা করেনি, হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তি হয়েছিল। এই সরকার যদি শাহেদ করিমকে গ্রেফতার করতে পারে, তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে কেন বিচারের আওতায় আনল না। করোনা মহামারি মোকাবিলায় এ সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। জনগণকে টিকা দেওয়ার বিষয়ে সরকারের কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, যখন কেউ সাহস করেনি তখন মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে এ জাতিকে স্বাধীনতার স্বাদ পাইয়ে দিয়েছিলেন। আবার ৭৫-এ দেশ যখন দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনায় ডুবে গিয়েছিল তখন আবার ত্রাণকর্তার ভূমিকায় ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি। এ সরকার এসব সত্য নতুন প্রজন্মকে জানতে দিতে চায় না, এজন্য তারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করতে চায়। বেগম জিয়া আজ মৃত্যুশয্যায়। অথচ এই ফ্যাসিস্ট সরকার তার চিকিৎসার জন্য কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ড্যাবের সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদ, সভাপতি ডা. মো. আব্দুস সালাম প্রমুখ।
এমএইচএন/এসকেডি