হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সঙ্গে নিজের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন ওই কমিটির নায়েবে আমির মুন্সিগঞ্জের জামি’আ ইসলামিয়া হালীমিয়া মাদরাসার মুহতামিম ও মধুপুরের পীর মাওলানা আবদুল হামিদ।

সোমবার ( ৩১ মে) রাতে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, জুনায়েদ বাবুনগরীর নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি বৈধ নয়। এ বিষয়ে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কমিটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরীকে চিঠি দেব।

এর আগে মাওলানা আবদুল হামিদ গত ২৮ মে একটি ঘোষণাপত্রে বলেন, হেফাজতের প্রয়াত আমির আহমদ শফীর নীতি আদর্শে অবিচল আছি এবং আজীবন থাকব।

তিনি আরও বলেন, আমি হেফাজত ইসলামের মোদিবিরোধী কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের মধুপুরে অপ্রত্যাশিত ঘটনাবলীর জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। বিশেষ করে আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন মেজর জেনারেল আবুল কালাম হুমায়ুনের মা আহত হওয়ার খবর শুনে অত্যন্ত দুঃখিত ও ব্যথিত হয়েছি।

আগের কমিটির সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলে কেন হেফাজতের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন এবং নেতৃত্বে দিয়েছিলেন জানতে চাইলে মাওলানা আবদুল হামিদ বলেন, গত কমিটিতে আমাকে না জানিয়ে পদ দেওয়া হয়েছিল। আমি তখন অসুস্থ ছিলাম। তাই কিছু বলতে পারিনি। এখনও অসুস্থ আছি। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানাবো বাবুনগরীকে।  

হেফাজতের শফীপন্থীদের সঙ্গে যোগ দেবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ। এখন এই বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।

উল্লেখ্য, মধুপুরের পীর মাওলানা আব্দুল হামিদ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা। এর আগে ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর আরেক রাজনৈতিক দল ইসলামী ঐক্যজোট ছাড়েন তিনি। নির্বাচনে আসন বণ্টনকে কেন্দ্র করে ইসলামী ঐক্যজোট নেতাদের সঙ্গে বিরোধ হয় তার। তিনি মুন্সীগঞ্জ-১ আসন থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী ছিলেন। তবে ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী আসন বণ্টনের তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি। ফলে, ক্ষুব্ধ হয়ে দল ত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

এএইচআর/এসকেডি